ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ধ্বংসস্তূপের নিচে স্বজনদের মৃতদেহ খুঁজছেন গাজাবাসী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৭, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

১৫ মাসব্যাপী এই সংঘাত গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এতে উত্তাল ছিল মধ্যপ্রাচ্য, যা রোববার এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে শান্ত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে হামাসের কাছে আটক তিনজন বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পায় ৯০ জন ফিলিস্তিনি।

এদিকে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত মানুষ বা মরদেহ খুঁজছে গাজাবাসী। ধারণা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো চাপা পড়ে আছে হাজার হাজার বাসিন্দা। খবর রয়টার্স।

ফিলিস্তিনি সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, আমরা ১০ হাজার শহীদের সন্ধান করছি, যাদের মৃতদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে। অন্তত ২ হাজার ৮৪০ জনের মৃতদেহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী মোহাম্মদ গোমা যুদ্ধে তার ভাই ও ভাতিজাকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি খুব বড় একটা ধাক্কা ছিল। যে পরিমাণ মানুষ হতাহত হয়েছে তার হিসাব নেই। তাদের ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি ভূমিকম্প বা বন্যার মতো নয়। যা হয়েছে তা হল এক ধরনের গণবিনাশের যুদ্ধ।

গাজার বাসিন্দা এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যুদ্ধবিরতি বহাল রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে আটজন ইসরায়েলি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি এলাকাটিতে সহায়তার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসিন্দারা বাজারে ভিড় জমিয়েছে। অনেকে পণ্যের কম দাম এবং নতুন খাদ্যপণ্যের উপস্থিতি, যেমন আমদানিকৃত চকলেট দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

এখন মনোযোগ দেয়া হচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ধ্বংসকৃত উপকূলবর্তী এই এলাকার পুনর্গঠনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজা ও পশ্চিম তীরে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি