নকল প্রসাধনীর ছড়াছড়ি
প্রকাশিত : ১৫:২৫, ২৭ অক্টোবর ২০১৮
সৌন্দর্য চর্চার প্রধান উপকরণ কসমেটিক্স। তবে, বেশি লাভের আশায় নামীদামী ব্র্যান্ডের নামে নকল আর ভেজাল প্রসাধনী তৈরি হচ্ছে অনেক কারখানায়। নকলের ভিড়ে আসল কসমেটিক্স খুঁজে পাওয়া-ই কঠিন। ভেজাল এ’সব কসমেটিকস ব্যবহারে ক্যান্সারসহ ত্বকের বিভিন্ন রোগ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর নকল পণ্য উৎপাদন বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে বিএসটিআই।
এ’বিষয়ে বিস্তারিত থাকছে রাত ১০টায় একুশের চোখ অনুষ্ঠানে।
সৌন্দর্য চর্চার জন্য ক্রিম, পাউডার, ফেস পাউডার, ফেসওয়াশসহ বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে মানুষ। নামী দামী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হারবাল পণ্যও এসেছে বাজারে।
কিন্তুু এ’সব প্রসাধনীর উপকরণ কি? নামী দামী ব্যান্ডের মোড়কে থাকা প্রসাধনীগুলো কি আসল নাকি নকল? সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর চিত্র।
ক্যামিকেল, আটা, ময়দা আর চকের সাথে বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে রং ফর্সাকারি ক্রিম। নামী দামী বিভিন্ন বিদেশী ব্যান্ডের ৪২ ধরনের প্রসাধনীও নকল হয়ে চকচকে ঝকঝকে মোড়কে বাজারজাত হয়।
নাইন ফাইন কেয়ারের-সিলসিলা। মাত্র দশ দিনে কালো ত্বককে সুন্দর করার বিভিন্ন চটকদার লিফলেট বিতরণ করে বোকা বানাচ্ছে মানুষকে। অল ইন ওয়ান, ব্রন কিউর ক্রীম, টাচ এন্ড গ্লো, ফেয়ারনেস স্পেশাল ক্রীম, স্পট কিউর স্পেশাল ক্রীম, সানগার্ড ফেয়ারনেস ক্রীমসহ অনেক ক্রীমে রয়েছে ক্ষতিকর মারকারি, এসিডসহ বিভিন্ন ক্যামিকেল।
দেশে তৈরি হলেও মোড়কের গায়ে লেখা মেড ইন ইউকে।
লাইসেন্সের শর্তানুযায়ী এগুলো তারা ব্যবহার করেতে পারেনা বলে জানান বিএসটিআইয়ের এই কর্মকর্তা।
আর প্রসাধনী ব্যবহারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নকল আর ভেজাল প্রসাধনী প্রস্ততকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সবার।
আরও পড়ুন