‘নজরদারিহীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ফাঁদ হতে পারে’
প্রকাশিত : ১১:২৫, ৮ জুন ২০১৮
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে যথাযথ সরকারি নজরদারি না থাকলে এটি ফাঁদ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মন্তব্য করছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয় হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমার সরকার দায়বদ্ধ না থাকলে নিধনযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিরা আবারও হত্যাযজ্ঞ শুরু করতে পারে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমার শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের বাঙালি মুসলিম আখ্যা দিয়ে নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে। তবে এবারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো হওয়ার একপর্যায়ে প্রত্যাবাসন চুক্তিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। তবে সেই চুক্তির পর বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও ধোঁয়াশা কাটছে না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জানুয়ারিতে সম্পন্ন হওয়া মিয়ানমার-বাংলাদেশ চুক্তির আওতায় এখনও একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ঢাকা-নেপিদো চুক্তি সম্পন্ন হলেও নানা অজুহাতে রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে প্রত্যাবাসনের গতি। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে।
বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক ১৯৭৮, ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সমন্বয়ে করা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অনুসরণ করার আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে তারা বলে, ‘এমন প্রত্যবাসনের যারা স্বাক্ষী তারাও বারবার ভয়াবহ নিপীড়নের অভিজ্ঞতার কথা বলে আসছেন।’
গত মাসেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৮ হাজার রোহিঙ্গার পাঠানো একটি তালিকা থেকে মাত্র ১১০১ জনকে নির্বাচন করেছে মিয়ানমার। মানবাধিকার সংস্খটির নির্বাহী পরিচালক কিয়াও উইন জানান, অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখা দরকার। তিনি বলেন, বিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, সরকার দায়বদ্ধ না থাকলে অপরাধীরা আবারও নিপীড়ন শুরু করবে। তাই প্রত্যাবাসনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সবচেয়ে বেশি জরুরি।
টিআর/ এসএইচ/
আরও পড়ুন