নতুন উদ্যোগ, অপরিশোধিত তেল দেশেই শোধন হবে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:১৪, ২৬ মার্চ ২০২৪
ইস্টার্ন রিফাইনারির সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নির্মাণ করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় ইউনিট। আর এই প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে বেসরকারি খাতের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। ইস্টার্ন রিফাইন্যারি-টু প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিদ্যমান সক্ষমতার বাইরে আরও ৫০ লাখ টন অপরিশোধিত তেল দেশেই শোধন হবে। সাশ্রয় হবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা।
১৯৬৮ সালে নির্মিত হয়েছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারী লিমিটেড। শুরু থকেই ইস্টার্ন রিফাইনারির পরিশোধন সক্ষমতা ১৫ লাখ টন। এ কারণে দেশে বছরে যে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে তার সিংহভাগই আমদানি হচ্ছে পরিশোধিত আকারে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসির তথ্য বলছে, গত অর্থবছরে দেশে ১৫ লাখ ৫১ হাজার টন অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়েছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় প্রায় সাড়ে ৪৮ লাখ টন।
ক্রমবর্ধান চাহিদার বিপরীতে পরিশোধিত তেল আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে সরকারের খরচ। এ কারণে নতুন একটি পরিশোধনাগার নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণসহ বেশকিছু কাজ এগিয়েছে। তবে নানা জটিলতায় ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট বাস্তবায়নে গতি না আসায় প্রকল্পটিতে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করছে সরকার। এ নিয়ে সম্প্রতি সমঝোতা স্মারকও সই হয়েছে।
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত ভৌমিক বলেন, “প্রায় ৭টি প্রোডাক্টের এনালাইসেস ও লাইসেন্স দেয়ার পর্যায় চলে গেছে। এই প্রোডাক্টগুলো আমাদের দেশে খুবই প্রয়োজন। সে হিসেবেই আমরা এগুচ্ছি। প্রাইভেট সেক্টরে সবচেয়ে বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট কোল্ড বেইজ পাওয়ার প্লান্ট, সেটার যে বড় বিনিয়োগ সেখানে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে।”
আধুনিক প্রযুক্তিতে ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণ করতে চায় এস আলম গ্রুপ।
সুব্রত ভৌমিক বলেন, “ল্যান্ড সরকারের বাকি বিনিয়োগ আমাদের।”
এদিকে ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণের উদ্যোগকে ইতিবাচক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম তামিম বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে যদি রিফাইনিং কস্টের কারণে যদি দাম বেশি বেড়ে যায় কোনো প্রোডাক্টের সেক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই লাভ হবে। যখন একটি নতুন রিফাইনিং ইউনিট করা হবে সেখান থেকে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ডিজেল বের হবে বাকি ৩০-৩৫ শতাংশ পেট্রোল ও অন্যান্য প্রোডাক্ট থাকবে। সেগুলোর বাজার দেশে নেই, সেগুলো বিদেশে রপ্তানি করতে হবে।”
ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিটে ইউরো-৫ মানের গ্যাসোলিন ও ডিজেল উৎপাদনের পাশাপাশি বিদ্যমান রিফাইনারির ডিজেলকে ইউরো-৫ মানে রূপান্তর করা হবে। এলপিজি, গ্যাসোলিন, জেট ফুয়েল-১, ডিজেল, ফার্নেস অয়েল ও বিটুমিনের উৎপাদনও বাড়বে। এছাড়া লুব বেজ অয়েল ও সালফারও উৎপাদন হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ