নতুন রুটে রেল চালুর প্রস্তাব ভারতের (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৩১, ৯ অক্টোবর ২০২২
এবার দিনাজপুরের হিলি, লালমনিরহাটের মোঘল হাট দিয়ে মেঘালয়ের জেলাগুলোয় রেল চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। এদিকে ভারতের গেদে-দর্শনা থেকে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পথেও রেল যোগাযোগ স্থাপনের পর্যালোচনা চলছে। এরপর সড়ক পথে ট্রানজিট চালু করতে চায় ভারত।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তিপ্পান্ন বছর বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ।
শুধু ব্রিটিশ আমলের অবিভক্ত ভারতের ৮টি রুটে রেল চালুর অংশ হিসেবে ২০০৮ সালে ঢাকা-কোলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস দর্শনা-গেদে রুটে চালুর মধ্য দিয়ে শুরু হয় রেল যোগাযোগের।
আবার বেনাপোল-পেট্রোপোল সীমান্ত দিয়ে বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনা-কোলকাতা এবং চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে মিতালী এক্সপ্রেস ঢাকা-জলপাইগুড়ি রুটে চলাচল করছে।
যাত্রী-পণ্য সেবায় তিনটি এবং শুধু পণ্য পরিবহনে দুটি রুটসহ চালু রয়েছে পাঁচটি রুট। চালুর অপেক্ষায় বাকি তিনটি রুট।
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, “৪৭ সালের পরে থেকে ভারত তাদের রেল ব্যবস্থা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। পাকিস্তানের সময়ে এই অঞ্চলে কোনো উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। ভারতের সঙ্গে অবিভক্ত যে রেল ব্যবস্থা ছিল সেগুলোকে আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ৫টি চালু করেছি।”
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আখাউড়া থেকে আগরতলা, কূলাউড়া থেকে শাহবাজপুর এবং ফেনী থেকে বিলোনিয়া রেল পথের নির্মাণও এগিয়ে চলছে।
নুরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, “এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতে সফর গেলাম, সে সময়ে নতুন করে তারা আরেকটি প্রস্তাব দিয়েছে।”
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট থেকে হিলি হয়ে গাইবান্ধা-লালমনিরহাট রুট দিয়ে মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জের তুরা পর্যন্ত রেল চলাচলে আগ্রহী ভারত।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, “দিনাজপুরের হিলি লালমনিরহাটের মোঘলহাট দিয়ে মেঘালয়ের সঙ্গে কানেক্ট করে দিবে। শুধু রেল নয় তারা একটা সড়ক পথেরও প্রস্তাব দিয়েছে।”
তবে, রেল ও সড়কের কতটুকু পথ নির্মাণ করতে হবে, খরচ কেমন পড়বে আর অর্থের যোগানই বা আসবে কিভাবে? সে বিষয়ে আলোচনা শুরু না হলেও ভারতের সাথে রেল যোগাযোগে আপত্তি নেই বাংলাদেশের।
এএইচ