নববর্ষ আর ইটিভির রজতজয়ন্তী দুই মিলে জমকালো উৎসব হবে: ইটিভি চেয়ারম্যান

আগামীকাল পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশের সংবাদভিত্তিক প্রথম বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (রজতজয়ন্তী)। বাংলা নববর্ষ আর ইটিভির জন্মদিন এই দুই মিলে এক জমকালো উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম।

আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) একুশে টেলিভিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম বলেন, এই উৎসবে ইটিভিতে তিনদিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়াও ১৪ এপ্রিল সারাদিন কারওয়ান বাজারের প্রেট্রোবাংলার সামনে দিনব্যাপী মেলা, কনসার্টসহ দেশজ সংস্কৃতির আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে বর্ণিল র‍্যালিরও।

একুশের যাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল একুশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। ২০০২ সালে ইটিভি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ৫ বছর সংগ্রাম করে আমরা ফের অন-এয়ারে আসি ২০০৭ সালে। এরপর আবারও স্বৈরশাসকের রোষানলে পড়ে একুশে টেলিভিশন। 

একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর একুশের জন্য একটি কালো দিবস। ওইদিন শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আব্দুস সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে এস আলম গ্রুপ ইটিভি দখল করে নেয়। তার ১১ মাস আগে ৬ জানুয়ারি ভোর রাতে ইটিভি ভবন থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠার সময় আমাকে আটক করা হয়। আমার অপরাধ ছিলো আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বক্তব্য ইটিভিতে লাইভ সম্প্রচার করেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রায় তিন বছর জেলে ছিলাম। ছাড়া পাওয়ার পরও আমাকে আমরা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দেয়া হয়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সবার ভালোবাসা ও একুশের কর্মীদের অনুরোধে আমি আমার প্রতিষ্ঠানে আবার ফিরে আসি। ফিরে পাই একুশে টেলিভিশন।

একুশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, একুশে টেলিভিশন এরইমধ্যে আবারও তার বস্তুনিষ্ঠতা ও বৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনছে সংবাদে এবং অনুষ্ঠানে। টকশো, অনুসন্ধান, বিনোদনে নতুন নতুন চমক দিচ্ছে। সামনে আরো নতুন পরিকল্পনা আছে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।

দৃঢ়কণ্ঠে তিনি বলেন, একুশে টেলিভিশন সংগ্রাম ও সাফল্যের একটি নাম। মুক্ত সাংবাকিতা ও সুস্থ বিনোদন নিয়ে একুশে টেলিভিশন এগিয়ে যাবে। কোনো বাধাই আমাদের থামাতে পারবেনা।

পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আব্দুস সালাম। এসময় তিনি জানান, জনগণের কথা বলেই যাবে একুশে টেলিভিশন। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠায় কোনো আপষ করবেনা ইটিভি।

এএইচ