ঢাকা, রবিবার   ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

নববর্ষ

-তরুণ শিকদার

প্রকাশিত : ২০:২১, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ২০:২৯, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

“জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক”
এই প্রত্যয়ে প্রতিবছর
উদযাপিত নববর্ষ।
সারা বিশ্বের সব জাতি গোষ্ঠী ধর্ম ও সম্প্রদায়ের
মানুষের এ আয়োজন।
পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস সাড়ে-ছয় হাজার বছর
আর মানুষের জানা স্বচ্ছ ইতিহাস
আড়াই থেকে তিন হাজার বছর।
এই সময়ের মধ্যে
নব নব সংস্কৃতির উত্থান জাতি ও গোষ্ঠীকে যুথবদ্ধ করেছে
চলেছে রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক আগ্রাসন।
বিলীন হয়েছে জনপদ
লুন্ঠিত হয়েছে মানুষের স্বাধীনতা
সৃষ্টি হয়েছে পরাশক্তির
ধর্ষিত হয়েছে মানবতা।
যার সবকিছুর মূলে
সেই জীর্ণতা, লোভ-লালসা, ক্ষমতার দম্ভ
আর দখলী মনোবৃত্তি।
মানব মন হাজার বছর ধরেও
এই ক্ষীণতা ও জীর্ণতাকে দমন করতে পারেনি
তাইতো তাকে প্রতিবছর ক্ষমা চাইতে হয়
নিজ নীচতা আর হীনমন্যতার কাছে ।
পোড়ামন নতুন শপথে এগিয়ে আসতে চায়
নতুনের সাথে।
কিন্তু মনের মুকুরে
সেই পুরাতন জীর্ণতাকেই আঁকড়ে ধরে রাখে।
পৃথিবীর ইতিহাসে বিলীন হয়েছে
অসংখ্য ক্ষমতাধরের দম্ভ ।
নৃসংশ চেঙ্গিস খান, মোগল সাম্রাজ্য, মারাঠি বিক্রম
ধ্বংস হয়েছে।
ইংরেজের আ-সূর্যাস্ত সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে
স্বাধীনতাকামী মানুষের হাতে।
তবুও মেলেনি শান্তি।
পরাক্রমশালী দুর্বিনীত ক্ষমতাধর মানুষগুলোর
জৈবিক দেহখানি মিলে গেছে মাটির সাথে
কিন্তু তাদের সেই দাম্ভিক মন-মানস, রক্ত মাংসের লোভ
আমরা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি।
তাই শতবর্ষ আগে বর্ষবরণে
কবিগুরুর প্রত্যাশাও পূর্ণ হয়নি
যা রয়ে গেছে শুধু গানের ভাষায়
মনের কোন থেকে যাকে মুছে ফেলা যায়নি।
শতাব্দীব্যাপী মানুষের
উন্নতি হয়েছে জ্ঞান-বিজ্ঞানে
উন্নতি হয়েছে অর্থে-বিত্তে
উন্নতি হয়েছে মানুষ হত্যার নব নব কৌশলে
প্রস্ফুটিত হয়নি মানবিক উন্নয়ন।
তবুও গেয়ে যাব গান
সব পুরাতন জীর্ণতার হোক অবসান
নতুন সূর্য আনুক
নতুন প্রত্যাশা
জীবনের জয়গানে জেগে থাক আশা।
(৩০ চৈত্র ১৪৩০)

(কবি তরুন কান্তি শিকদার বিদায়ী অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি