‘নব্বই বছরে আমি যদি নিতে পারি...!’
প্রকাশিত : ১৯:৫৩, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম জাহান কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। সর্বশেষ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে বিশ্বব্যাংক, আইএলও, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনে পরামর্শক ও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বই- বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনীতি, অর্থনীতি-কড়চা, Freedom for Choice প্রভৃতি।
তিনি ইতিহাস গড়লেন। পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের বাইরে পূর্ণ পরীক্ষিত এবং অনুমোদিত কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক টিকাটি বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে তিনিই প্রথম নিলেন। নাম তাঁর মার্গারেট কীনান, বয়স ৯০ বছর, যুক্তরাজ্যের অধিবাসী তিনি। পেশায় ছিলেন একটি গহনা বিপনীর সহকারী। চার বছর আগে কর্ম-অবসর নেন তিনি।
মধ্য-যুক্তরাজ্যের কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি এ টিকা নেন গতকাল ৮ ডিসেম্বর খুব ভোরে- ঠিক সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে। তাতে মার্গারেটের কোনও অসুবিধে হয়নি। অতি প্রভাতে শয্যা ত্যাগ করেন তিনি। তাঁকে টিকাটি হাসপাতালের যে সেবিকা দিয়েছেন, তাঁর নাম মে পার্সন্স। ফিলিপিনসের এই মানুষটি গত ২৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কাজ করছেন।
মানবজাতির একটি চরম সঙ্কটের উত্তরণের পথযাত্রায় অগ্র-অভিযাত্রী মার্গারেট কীনানকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বেরিস জনসনের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপের সময়ে মার্গারেট তাঁকে জানিয়েছেন যে- মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তিনি এ টিকা নিচ্ছেন।
কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক টিকা নিচ্ছেন মার্গারেট কীনান, সঙ্গে টিকা প্রদানকারী সেবিকা মে পার্সন্স। দ্বিতীয় ছবিতে মার্গারেট ও মে, টিকা প্রদানের আগে।
আগামী সপ্তাহে মার্গেরেটের বয়স ৯১ বছর হবে। তিনি বলেছেন যে- এ টিকাই তাঁর জন্মদিনের আগাম শ্রেষ্ঠ উপহার। তিনি তাকিয়ে আছেন বড়দিন আর নববর্ষের দিকে, যখন তিনি পরিবারের সবার সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন।
আমাদের সবার প্রতি মার্গারেট কীনানের বাণী- ‘কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক টিকাটি নিও। আমি যদি ৯০ বছর বয়সে তা নিতে পারি, তাহলে তোমরাও পারবে’।
এনএস/
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।