নাজাতের প্রার্থনা হোক ইবাদতের মাধ্যমে
প্রকাশিত : ১২:২১, ৩০ মে ২০১৯
বান্দার গুনাহর চেয়ে আল্লাহর দয়া হাজার হাজার কোটি গুণ বেশি। তাই বান্দা যখনই মহান আল্লাহর দরবারে এসে সমর্পণের সঙ্গে তওবা করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। দোজখের কঠিন আজাব থেকে মুক্তির দশক চলছে। কতটুকু করুণা পেয়েছি মহান আল্লাহর!
প্রতিটি মুমিন বান্দার লক্ষ্য হওয়া উচিত রমজানের এই শেষ সময়ে ইবাদতে বেশি বেশি মনোযোগী হওয়া। ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোজখের আগুন থেকে মুক্তি কামনা করি। পূর্বের কৃতকর্মের জন্য বেশি বেশি তওবা/ইস্তিগফার করি। আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু। হযরত উম্মে ইসমত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, রমজানের শেষ দশকে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য গুণাগারকে দোজখের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন।
ইস্তিগফার (ক্ষমা) চাওয়া গুরুত্বপূর্ণ আমল। গুনাহর রাস্তা থেকে সরে আসবে এবং অতীতের গুনাহ জন্য বান্দা ক্ষমা চাইবে- এতে আল্লাহ খুশি হন। ক্ষমা চাওয়ার মধ্যেই বান্দার মুক্তি।
আজ ২৪ রমজান। ইফতারের পরে ২৫ রমজান শুরু হবে। শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশের কথা বলা হয়েছে। তাই ২৫ রমজানের রাতে শবেকদর পাওয়ার আশায় প্রতিটি মুসলিম বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগী করবে একাগ্রচিত্তে।
লাইলাতুল কদরের ফজিলত লাভে আমরা স্বচেষ্ট থাকি, ইবাদতে মশগুল হই। কেননা এই রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।
তাই প্রত্যেক মুমিনের রমজানের শেষ দিনগুলো কাটুক তওবা ও ইবাদতের মাধ্যমে।
এএইচ/