ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

নাটোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কলেজছাত্র হত্যাকারী নিহত

প্রকাশিত : ১৩:২৫, ১৩ জুলাই ২০১৯

নাটোরের লালপুরে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বড়াইগ্রামের কলেজছাত্র আল আমিনের হত্যাকারী নিহত হয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনি নিহত হন।

জানা যায়, বন্দুকযুদ্ধে নিহত মানিক ওরফে সুমন’র (৪৮) বিরুদ্ধে হত্যা ও মোটরসাইকেল ছিনতাই এবং ডাকাতিসহ ১৫টির অধিক মামলা রয়েছে। নিহত মানিক পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পূর্বটেংরী শেরপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন জানান, গত ৫ জুলাই বড়াইগ্রামে কলেজছাত্র আল আমিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার পর তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেই চক্রের সদস্য শুটার মানিককে শুক্রবার পাবনার রুপপুর থেকে আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঈশ্বরদীর একটি বাড়ি থেকে আল আমিনের ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে শুটার মানিক লালপুরের অলোক বাগচিকে হত্যা করে মোটরসাইকেল ও এক অটো চালককে গুলি করে অটো ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার সহযোগী অন্যরা শনিবার রাতে লালপুরে ডাকাতি করবে।

তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে অন্য সহযোগীদের ধরতে শনিবার রাতে নাটোরের লালপুপুরে যাওয়ার পথে উপজেলার তোফাকাটা মোড় এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালায় মানিকের সহযোগীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এই সুযোগে মানিক পালানোর চেষ্টাকালে ক্রসফায়ারে সে গুলিবিদ্ধ হয়।

উভয়পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে মানিকের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিককে পুলিশ লালপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে তল্লাশী করে ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ব্যবহৃত চার রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল, গুলির খোসা ৬ রাউন্ড, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কার্টার, হাতুরি, টর্চ লাইট ও লোহার রড সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে  নিহত মানিকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পাবনার ঈশ্বরদীর আলহাজ মোড় মদ্রাসা হাট এলাকা থেকে চরগড়গড়ি গ্রামের ইয়াসিন মীরের ছেলে বাসিদ মীরকে আটক এবং আল আমিনের ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী, লালপুর, বড়াইগ্রামসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই ও দস্যুতাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। তার অপর সহযোগীদের আটকের অভিযান অব্যাহত আছে।

এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি