ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

নাটোরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদন্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩৩, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

নাটোরের একটি আদালত মায়া খাতুন (১১) নামে এক শিশুকে ধর্ষণ হত্যার দায়ে দু’জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেনবুধবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ এবং শিশু আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান আসামীদের উপস্থিতিতে আদেশ দেন।   

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের টিপুর ছেলে মো. মোবারক হোসেন ওরফে কালু (২৪) ও একই উপজেলার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. মিঠুন (২৫)। নিহত মায়া খাতুন একই উপজেলার ব্রহ্মপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম ওরফে মানিক প্রামানিকের মেয়ে।

নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পাবলিক প্রসিউকিটর অ্যাডভোকেট এ কে এম শাজাহান কবির জানান, ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মানিক প্রামানিকের মেয়ে ইয়ারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী মায়া খাতুন প্রতিদিনের মত প্রাইভেট পড়া শেষে স্কুলে যায়। এ সময় মোবারক আলী কালু ও মিঠুন হোসেন মায়াকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে স্কুলের পাশে ইয়ারপুর স্লুইস গেট এলাকার একটি নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় শিশুটি চিৎকার করলে তারা মুখ ও গলা টিপে হত্যা করে।

এ সময় তারা মায়ার কান থেকে সোনার এক জোড়া দুলও খুলে নিয়ে স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করে। অপরদিকে বিকেলে মায়া বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে ইয়ারপুর স্লুইস গেট এলাকার ওই জঙ্গলে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মোবারক আলী কালু ও মিঠুন হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিহত শিশুর বাবা জহুরুল ইসলাম ওরফে মানিক প্রামানিক বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা মো. ওয়াজেদ আলী খান তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করলে মামলার দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আজ দুপুরে দুই আসামীর উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন।

আর

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি