ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

নানা রহস্যে ঘেরা পিরামিড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৮, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

পিরামিড। শুনলেই মনে হয় নানা রহস্যে ঘেরা। প্রাচীন আমলের কত না জানা কথা লুকিয়ে রয়েছে পিরামিডের প্রতিটি স্তরে। আর এ বার মেক্সিকোতে এমনই এক পিরামিডের নীচে গোপন সুড়ঙ্গ আবিষ্কার হল। যাকে বলা হচ্ছে ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড টানেল’।

মেক্সিকো ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি ও ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর জিও ফিজিক্সের গবেষকরা কম্পিউটার চালিত টোমোগ্রাফির মাধ্যমে এর অবস্থান শনাক্ত করেছেন। দিনেস আর্গোতে এসপিনো এই প্রকল্পের অন্যতম অধিকর্তা। তাঁরাই জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের নিচে গাছপালা, মানুষ, পশু-পাখি-সহ আস্ত একটা জগত থাকার সম্ভাবনার কথা।

প্রায় ২৬ ফুট গভীর সুড়ঙ্গ রয়েছে এই পিরামিডের নীচে। ব্যাস প্রায় ৪৯ ফুট। এই পিরামিডটিকে বলা হয়, ‘চাঁদের পিরামিড।’ এই গোপন সুড়ঙ্গটি উপাসনার জন্য ব্যবহার করা হত, দাবি এক দল ইতিহাসবিদদের। প্রাচীন আমলের ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’-এর ধারণা ছিল এরকম। তা কোনও অপরাধ সংঘটিত করার জন্য ছিল না।

সুড়ঙ্গের যতটুকু ভিতরে যাওয়া এখনও সম্ভব হয়েছে, তাতে পাওয়া গিয়েছে মানুষের মাথার খুলি, ফুলের পাপড়ির অবশেষ, গয়না ও সবুজ পাথর বসানো নানা সামগ্রী। এই একই জিনিস পাওয়া গিয়েছিল পিরামিডের ভিতরে সমাধিতেও। তবে সামরিক কোনও জিনিসপত্র মেলেনি। ফলে বাইরের জগতের কাছে এর অস্তিত্ব অজানা ছিল বলেই মনে করছেন নৃতত্ত্ববিদরাও।

পিরামিড অব দ্য মুন’-এর নীচে রহস্যজনক সুড়ঙ্গ এতটাই নিখুঁত ভাবে তৈরি যে, বর্তমান উচ্চপ্রযুক্তির যুগেও তা চোখ কপালে তোলে। গবেষকদের প্রাথমিক অনুমান, ওই সুড়ঙ্গের ভেতর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হত, যা দেখত প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

টিআর/    


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি