ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

‘নাম এবং নাম-ফলকের গল্প’

নাসিম হোসেন

প্রকাশিত : ১৫:৪২, ৪ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৫:৪৩, ৪ জুলাই ২০২১

‘জানো বাবা, জানো, আমাদের ময়নাটা আজ আমাকে আমার ‘না...ম’ ধরে ডেকেছে, আর এ কথাটা না মা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না। বলো বাবা, আমি কি ভুল বলেছি?’ কয়েক বছর আগে একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে দীঘির এই সংলাপটি সবার হৃদয়কে ছুঁয়ে যেত। নিজের নামের প্রতি প্রীতি শুরু হয় বুদ্ধি গজাবার সময় থেকেই।

নিজের নামটা আসলে সকলের কাছেই প্রিয়। মানুষ মাত্রই চায় তার নামটি যথাযথভাবে উচ্চারিত হোক। সেনাবাহিনীতে সিনিয়রের নাম ভুল করা এক মহা কবিরা গুনাহ। সেনা করণিক এবং স্টাফ অফিসারগণ বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখেন সকল যোগাযোগে নামে যেন কোনও ভুল না হয়।

তারপরও আমাদের সৈনিকদের মাঝে কারও নামকে নিজের সুবিধামতো বানানে লেখা বা নামের আগে পরে ইচ্ছে মতো পদ-পদবী যোগ করে দেয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। এটা অনেকটা কোলকাতার আনন্দবাজারী উন্নাসিকতা। ইচ্ছে করেই ‘শ’ বা ‘স’কে ‘ছ’ বানাবে! বাংলাদেশের প্রধান কবি শামসুর রহমান ওদের হাতে পড়ে তাই হয়ে যায় ‘ছামছুর রহমান’।

এই যেমন- কাউকে একটা নামীয় তালিকা তৈরী করতে বলবেন, সে আপনার নামের আগে ইচ্ছামতো ছোট-বড় ‘মো:’ বা ‘মোহাম্মদ’ এবং নামের শেষে থাকুক বা না থাকুক ‘আলী’ বা ‘হোসেন’ বা ‘উদ্দিন’ লাগিয়ে দিবে।

একবার এক ক্লার্ক’কে তার এই প্রবণতা কেন জানতে চাইলে সে নির্লিপ্তভাবে জবাব দিলো- স্যার নামের আগে ‘মো:’ না থাকলেও, দিলে কোনও সমস্যা নাই। সবাই তো মুসলমান। উত্তরটা ঠিক যেন সার্বজনীন সবজি আলুর মতো। সব কিছুতেই খাটে।

‘মো:’ এর যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে একটা গল্প শুনেছিলাম। গল্পটির সত্যাসত্য নিরূপণ করতে পারিনি। যেহেতু গল্পটির কোনও কপিরাইট নেই তাই লিখছি:

বগুড়ায় কোনও এক ইউনিটের অধিনায়ক ছিলেন লেঃ কঃ জন গমেজ। তিনি এক দরবারে সৈনিকদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম সঠিকভাবে জানার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মোটিভেশন দিচ্ছিলেন। সঠিক নাম  জানা কমান্ড এন্ড লিডারশীপের ‘নো ইউর আন্ডার কমান্ড’ নীতিমালার সাথে যায়। তার কাছে এমনও রিপোর্ট ছিলো- সৈনিকরা তার নাম ঠিক মতো বলে না। 

যাইহোক, তিনি দীর্ঘক্ষণ লেকচার দিলেন এবং তার নাম ‘লেফটেন্যান্ট কর্নেল জন গমেজ’ বলে সকলকে মনে রাখতে বললেন। তো মেথড অফ ইন্সট্রাকশন-এর নীতিমালা অনুসারে, তার বক্তব্য এরা কতটুকু গিলেছে তা চেক দিতে তিনি দরবার টেবিলের কাছেই ঝিমুতে থাকা এক সৈনিককে দাঁড় করালেন- ‘বলো তোমার সিও (অধিনায়ক)-র নাম কি?’

হঠাৎ সিও-র প্রশ্নে হতভম্ব সে, তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে যথা নিয়মে সালাম ঠুকে জবাব দিলো- ‘৩৯৯৪০৫১, সিপাহী মোঃ ইয়াদ আলী স্যার, আমাদের অধিনায়কের নাম (একটু ঢোক গিলে) লেঃ কঃ মোঃ জন গনেশ স্যার’। হিন্দু-মুসলিম-খৃস্টান তিন ধর্মের মধ্যে পড়ে এবার সিও নিজেই হতভম্ব।

নাম তো নাম, এবার সাথে ধর্মও আক্রান্ত হওয়ায় সিও ‘দরবার এখানেই শেষ হলো’ বলে উঠে দাঁড়ান। হিন্দু ধর্মের অষ্ট প্রহর নাম কীর্তনের মতো বিএমএ-র ফার্স্ট টার্ম ক্যাডেটদের সপ্তাহান্তে ক্যাডেট সাম্রাজ্যের তাবৎ বড় ছোট রাজাদের নাম মুখস্থ করানো হয়।

শীতের রাতে ‘নাইস বাথ’র ভেজা শরীরে ‘Who's your BSUO?’ অথবা ‘Who's your BSM?’ নাম কীর্তন শৈশবের নামতা পড়ার কথাই মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু ক্যাডেট সাম্রাজ্যের এই অধিপতিরা তাদের নাম নিয়ে তেমন উচ্চ-বাচ্য না করলেও নমিনেশন না পাওয়া লোকাল বিএসএম-দের অত্যাচারে সাধারণ ক্যাডেটদের ত্রাহিত্রাহি অবস্থা।

তো এই নমিনেশন না পাওয়া স্বঘোষিত লোকাল বিএসএম-রা চাদাঁবাজ ট্রাফিক পুলিশের মতোই ডরমিটরির কোণায় কোণায় ওঁৎ পেতে থাকে জিসি ধরার জন্য। আর শিকার ধরার সর্বোত্তম স্থান ছিলো মোস্তফা কোম্পানির ‘বিট’-এ এক অনতিক্রম্য বারমুডা ট্রায়াঙ্গল।

কংক্রিটের ছিদ্রযুক্ত টাইলস আর নেটের আবরণে ঘেরা নীচতলার বারান্দার এক কোণা থেকে বাজখাঁই গলায় তারা জিসি আটকাতো- ‘ইয়েস ইউ কাম হিয়ার’, ‘হোয়াই আর ইউ ওয়াকিং?’ -এভাবেই শুরু হতো বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা...! ‘ইয়েস, টেল মি হোয়াট ইজ মাই নেইম?’ -আপনি এই প্রশ্নে নিশ্চিত ফেল।
 
নগদ কিছু ‘ফ্রন্ট রোল-হেড ডাউনে’ সাময়িক মুক্তি মিললেও চূড়ান্তভাবে কেস ডিসমিস হতো ৫০-১০০ বার এই অখ্যাত লোকাল বিএসএম-র নাম হাতে লিখে জমা দেবার পর।

নিজের নাম প্রীতির কারণে সিনিয়র-জুনিয়র সবাই জানতো সম নামের কোন জিসি কোন কোম্পানির কোন প্লাটু্নে থাকে। নিজের হারিয়ে যাওয়া নেমপ্লেট ধার নিতে সবাই ধর্ণা দিতো একে অপরের কাছে। নিজের নামের প্রতি পক্ষপাতিত্ব বা উৎসুকতা মহান সব ব্যক্তির মধ্যেই থাকে বটে।

১৯৯৫ সালের নভেম্বর মাসের শেষ ভাগে ঢাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর শেষ দিনে সেনাপ্রধান লেঃ জেঃ এ এস এম নাসিম বীর প্রতীক আমাদের এএসপিটিএস-র স্টলে আসলেন আন আর্মড কমব্যাটের মহড়া দেখতে। মহড়ার শেষে টিমের সকলের সাথে করমর্দন করছেন। আমি যথারীতি টিম লিডার হিসাবে স্যালুট করে নিজের পরিচয় দিলাম।

তবে আমার নেইম প্লেটের দিকে দৃষ্টি পড়তেই উনি বেশ হালকা মেজাজে স্মিত হেসে বললেন, ‘ইয়েস মেজর, হোয়াই হ্যাভ ইউ টেকেন মাই নেম?’  (Yes Major, why have you taken my name?)

বুঝলাম, জেনারেল আমাকে নিয়ে একটু মজা করছেন। কি আর উত্তর দিবো। উনি বেশ পুলকিত হয়ে আমার হাতে ঝাঁকুনি দিচ্ছেন। আমার পাশে থাকা সিআই লেঃ কঃ বজলুর রহমান আমাকে উদ্ধার করলেন। উনি জেনারেলের খোশ মেজাজের সাথে সম্বনয় রেখে উওর দিলেন, ‘স্যার, ইনফ্যাক্ট হি হ্যাজ বোরোড দ্য নেইম ফ্রম এ গ্রেট ম্যান।’ (Sir, Infact he has borrowed  the name from a great man)।

এক্কেবারে বুলে হিট- ‘মোগাম্বর খোশ হূয়া’। আমার শরীরে রিখটার স্কেলের ৬ মাত্রার একটা ঝাঁকুনি দিয়ে জেনারেল এগিয়ে গেলেন। তবে ২০ মে ১৯৯৬ সালে তার অস্বাভাবিক প্রস্থানে কষ্ট পেয়েছিলাম- মুক্তিযোদ্ধা সেনাপ্রধান বলে তো অবশ্যই, নামের জন্য কি একটু বেশি নয়?

সেনাবাহিনীর অফিসগুলোতে অনার বোর্ড একটি অত্যন্ত গুরুত্ববহ অঙ্গসজ্জা। খুবই যত্নসহকারে এগুলোকে সংরক্ষণ করে প্রতিটি ইউনিট। পুরাতন পাকিস্তানি আমলের ইউনিটগুলোতে এগুলো সাধারণ ডিজাইনের আয়তাকার কাঠের তৈরী ফলক। প্রতিবার নতুন কর্তার আগমণের দিন সকালে আইএনটির সৈনিকরা তার নাম লিখে তাকে ইতিহাসের অংশ করে নেয়।

সময়ের ব্যবধানে অনার বোর্ডগুলোর তৈরীর উপাদানে পরিবর্তন এবং কারুকার্য বেড়েছে বৈ কমেনি। কাঠের বদলে এসেছে কাঁচ আর স্টিলের ফ্রেম। আইএনটির স্থান নিয়েছে কম্পিউটারের লেখা। স্মৃতিকাতর অবসরীরা এখনও তার পুরাতন কোনও কর্মস্থলে ভিজিটের সুযোগ পেলে কাঠের ফ্রেমে আইএনটির হাতে লেখা তার নামটি খুঁজে ফেরেন। হাই পাওয়ার চশমার কাঁচের ভেতর দিয়ে সাদা থেকে ঈষৎ হলদে হওয়া লেখার ওপর শীর্ণ হাতের ছোঁয়ায় জীবনের সবুজকে খুঁজে ফেরেন।

তবে এই অগ্রজরা যদি কেউ ‘তারকা’ খ্যাতি পান, তাহলে তার নামের পাশে ★...★★...★★★ চিহ্ন এঁকে কৌলিণ্যতাকে সগৌরবে বরণ করে নেন। ষাট, সত্তর, কিংবা আশির দশকেও খুব বেশি নির্মাণ ফলক (উদ্বোধন বা নির্মাণ কাজ শুরু) চোখে পড়তো না। তখন বোধহয় ও রকম ফলক লাগানোর আকাঙ্ক্ষা এতো তীব্র ছিলো না।

আমার নজরে পড়েছে পুরোনো তিনটি ফলক- একটি ঢাকা সিএমএইচ-এর ফ্যামিলি ওয়ার্ডে (সম্ভবত) ইস্কান্দর মীর্জার ফলক (১৯৫৪?), যশোর সেনানিবাসের মনোহরপুর ফায়ারিং রেঞ্জ এলাকায় ফার্স্ট বেঙ্গলের ১১৭ জন সৈনিকের সমাধির ওপর কর্নেল তাহেরের নামাঙ্কিত ফলক (১৯৭২) এবং চট্রগ্রাম সেনানিবাসের ২০৩ ব্রিগেড অফিসার্স মেসের প্রবেশ পথে প্রয়াত মেজর জেনারেল মঞ্জুরের ফলকটি (১৯৮১) আমার স্মৃতিতে খুব উজ্জ্বল।

এখন তো কত কিছুর জন্য কত শত ফলক। কিছু কিছু ফলক এক একটা সময়কে ধারণ করে- অগ্রগতির ধারাবাহিকতাকে মনে করিয়ে দেয়। তবে কোনও কোনও ফলককে একেবারে বিজ্ঞাপন চিত্রের সেলফ প্রমোশনাল ভিডিও মনে হয়। যা দেখলে মন "Skip Add" বাটন খুঁজতে থাকে।

এই যেমন, কয়েক বছর আগে গুইমারা রিজিয়নে এমন একটি বিশাল প্রমোশনাল বোর্ড দেখেছিলাম- দেশ প্রেম নিয়ে নিজের লেখা স্বগতোক্তি। ‘কোড- আনকোড’-এর পর উদ্যোক্তার নামটিও বেশ বড় ফণ্টে লেখা। উনার হয়তো মনে হয়েছে, দেশপ্রেম জাগাতে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বা জন এফ কেনেডি’র মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের যেসব বাণী আমরা বক্তৃতা বা আলোচনায় উদ্ধৃত করি, তা অনেক পুরানো, তাই নিজের মস্তিষ্ক উদ্ভূত আধুনিক যুতসই একটা বাণী থাকা উচিৎ, যা পড়ে সৈনিকরা যুদ্ধ ক্ষেত্রে লড়াই করতে জানের নিকুচি করবে।

তো স্থানীয় অধিকর্তার ইচ্ছায় বেশ বড়সড় দামী একটা বোর্ড লাগানো হয়। বাসগুলো ওখানে থামে এবং ‘দেশভক্তি প্রকাশে নারাজ যে’ -এমন ত্যাঁদড় বাস-যাত্রীরও চোখে পড়বে সেই বিশাল দেশভক্তি সম্বলিত বিজ্ঞাপন বোর্ডটি।

এ লেখাটি লেখার পূর্বে একটু ফ্যাক্ট চেক দিয়ে জানলাম, সেই মহামতির বাণী সম্বলিত বোর্ডটি এখন আর শোভা পাচ্ছে না। ‘আমাদের দেশপ্রেমে কি ভাটা পড়েছে?’ না, সৈনিকের দেশ প্রেমে কখনওই ভাটা পড়েনি- ওটা কারও সেল্ফ প্রমোশনাল "Add" বোর্ড থেকে আসেনা। ওটার উৎস হৃদয়ের গভীরে লালিত দেশের প্রতি মমত্ববোধ থেকে। তাই কোভিড কালেও ওরা হাসিমুখে খাবারের বস্তা কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যায় ক্ষুধার্ত মানুষের দ্বারে।

দেশ প্রেম আর আত্মত্যাগের স্বাক্ষী হয়ে আছে পার্বত্য চট্রগ্রামে তরুণ বয়সে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা চট্রগ্রাম সেনানিবাসের কবরস্থানে ঘুমিয়ে থাকা ১২ ইস্ট বেঙ্গলের কয়েকজন সৈনিক। লতাগুল্মে ঢেকে আছে কারও কারও নাম- ‘সৈনিক দুলাল- সৈনিক আমিনূর’। পাথরের এপিটাফে তাদের মৃত্যুর দিনক্ষণ আর পরিচয় খোদাই করা।

প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এসব তরুণ প্রাণ দিয়েছে দূর্গম পাহাড়ে শান্তি বাহিনীর পাতা ফাঁদে পড়ে। কবরস্থানের উত্তর-পূর্ব কোণে শাল বাগানের ঢালুতে এসব প্রায় অবহেলিত যোদ্ধার বীরত্ব গাঁথার কোনও বিল বোর্ড নাই। অথচ, আমাদের চোখ আজ ঢেকে যায় একটি যুদ্ধেও না জেতা জীবিত নেপোলিয়নদের রঙ্গীন কম্পিউটার কম্পোজড ক্যানভাসে।

২০৩ ব্রিগেড মেসের গাড়ী বারান্দার দেয়ালে পাঁচ ফুট উঁচুতে স্থাপিত প্রয়াত মেজর জেনারেল মঞ্জুরের নামটা কি সগৌরবেই না প্রকাশ পাচ্ছে, অথচ তিনিই কিনা দুই কিলোমিটার দূরের কবরস্থানে একটি অচিহ্নিত সবুজ ঘাসে আবৃত কবরে লোক চক্ষুর অগোচরে ঘুমিয়ে আছেন।

কবরটার চারপাশে কোনও সীমানা নেই। পাথরের কোনও শ্বেতফলক নেই। জমিনটা একেবারেই সমান, মাটির কোনও উঁচু ঢিবিও নেই। কবরের দেখভাল করার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবকটি ছাড়া কেউ বলতেও পারবে না, এখানে কে শুয়ে আছেন। দুই কিলোমিটার উত্তরে যার নাম মাটির পাচঁ ফুট ওপরে  তিনিই এখানে শুয়ে আছেন নিচু জমিনে- ‘Inside in a unmarked grave’.

মনে মনে কল্পনা করি, হয়তোবা উনি পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া কাউকে জিজ্ঞাসা করছেন, ‘তুমি জানো আমার নাম?’ আমরা শুনতে পাই না বলেই ৮নং সেক্টর কমান্ডার এই মুক্তিযোদ্ধার উদ্দেশ্যে বলি না- ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর’- হে কবরবাসী আপনাকে সালাম।

আসলে কবরবাসীর কোনও নামের কোনও ফলকের দরকার হয় না। ওরা চায় শুধু দোয়া, হৃদয়ের গভীরে শ্রদ্ধার স্থান। ওটাই স্থায়ী। এজন্যই মান্না দে-র এ গানটা কখনও পুরনো হবে না-
‘যদি, কাগজে লেখো নাম, কাগজ ছিঁড়ে যাবে
যদি পাথরে লেখো নাম, পাথর ক্ষয়ে যাবে
যদি হৃদয়ে লেখো নাম, সে নাম রয়ে যাবে’।

So, Let's win the heart- সুতরাং, চলুন হৃদয় জয় করি।

লেখক- সাবেক সেনা কর্মকর্তা।

এনএস//


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি