ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

‘নারীদের ১৫০ আসনে মনোনয়ন দিতে হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫১, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কার্পণ্য কমিয়ে আরও বেশি আসনে নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের নারী নেত্রীরা। তারা বলেন,পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন করে সংসদের অর্ধেক আসনে মনোনয়ন দিতে হবে নারীদের।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন প্রত্যাশী নারী প্রার্থীরা অংশ নেন এ সেমিনারে।

ইউএসএআইডি ও ইউকেএইডের যৌথ অর্থায়নে এসপিএল প্রকল্পের ‘নারীর জয়ে সবার জয়’ ক্যাম্পেইন এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠি নারী। তাছাড়া দেশে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটার বেশি। তাই সংসদ নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

নারী নেত্রীরা বলেন, নারীদের এগিয়ে আনার জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা হয়েছিল। এখন সেটি বেড়ে ৫০টি হয়েছে। তাই নারীদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোতে ৩৩ ভাগ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই এটা বাস্তবায়নের তাগিদ দেন তারা। বলেন, যদি সেই সুযোগ নারীদের দেওয়া হয় তাহলে তার সুফল পাবেন সবাই।

নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টির নেত্রী অনন্যা হোসাইন মৌসুমী বলেন, দলে নারীদের মূল্যায়ন হয় না। নাটোর-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী কোহেলী চুমকি মুক্তি বলেন, দেশে ৫১ শতাংশ নারী ভোটার। তরুণ ভোটাররাও নারীদের পক্ষে। তাই অর্ধেক আসনে নারীদের মনোনয়ন দিতে হবে। বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাস নেত্রী শায়লা ইসলাম ফরিদপুর-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চান। তিনি বলেন, মায়ের হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি। মাঠে মানুষের সঙ্গে কাজ করছি। নারীদের নারী না ভেবে মানুষ ভাবা উচিত। জাপা নেত্রী আমিনা হাসান বলেন, নারীরা মনের কথা বলার জায়গা পায় না। নেতারা নারীদের এগিয়ে যেতে দেন না।

আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, নির্বাচনে মনোনয়ন যুদ্ধটা নারীদের সঙ্গে কোনও দলের নয়, পুরুষদের সঙ্গে। নারীদের এগিয়ে আসতে হবে নিজেদের যোগ্যতায়। কোনও দলমত নির্বিশেষে নারীদের একযোগে কাজ করতে হবে।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক বলেন, সাধারণ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নারী নেতারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা রেখে চলেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর এখনই সময় সরাসরি নির্বাচনে নারী নেতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো।

এ সময় বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য আমেনা কোহিনূর, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপ কমিটির সদস্য নুরজাহান আক্তার সবুজ, জাতীয়তাবাদী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য রহিমা শিকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি