নারীর ক্ষমতায়নের সম্ভাবনা অবকাঠামো প্রকল্পে : এডিবি
প্রকাশিত : ১৯:১৮, ১৭ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২০:২১, ১৭ জুলাই ২০১৭
অবকাঠামো প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়নের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রকল্প আরও গতিশীল হলে অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হবে ও জেন্ডার বৈষম্য হ্রাস পাবে বলে মনে করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এডিবি’র স্বাধীন মূল্যায়ন বিভাগের ‘জেন্ডার সহায়তা ও দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এই অভিমত তুলে ধরা হয়। সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন এডিবির স্বাধীন মূল্যায়ন বিভাগের মুখ্য মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ হিঅন এইচ সন।
অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিগো হিগোচি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব মাহমুদা শারমিন বেনু, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো আনোয়ারা বেগম, অর্থমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রামেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রকল্প পরিচালক আন্না মিনজি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ এক দশকের মূল্যায়নে দেখা গেছে- শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় জেন্ডার সমতার যথেষ্ট উন্নতি হলেও জীবন-যাপনের সুযোগ প্রাপ্তি এবং অর্থনৈতিক সম্পদ মালিকানার ক্ষেত্রে নারীরা এখনও বৈষম্যর শিকার হচ্ছেন। গ্রামীণ অঞ্চলের মাত্র ৮ শতাংশ নারীর কার্যকর আর্থিক সম্পদের মালিকানা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে এডিবির স্বাধীন মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিচালক মারভিন টেইলর ডরমন্ড বলেন, ‘বাংলাদেশে অবকাঠামোগত প্রকল্প কার্যক্রমে নারীদের সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। জেন্ডার বৈষম্য হ্রাসে অবকাঠামো প্রকল্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৫০ শতাংশ নারী। নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার এই উপলব্ধি থেকে নারীদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অধিকহারে সম্পৃক্তকরণের প্রয়াস চালাচ্ছে। এজন্য ২৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এডিবি বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার ছিল অবকাঠামো খাতে। এসব প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন