নারীসহ চারজনকে মারধর, ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছে না তারা
প্রকাশিত : ১০:১৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নারীসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীদের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না আহতরা।
উপজেলা জামপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বুরন্দি গ্রামে শুক্রবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সোনারগাঁওয়ের জামপুর ইউনিয়নের বুরন্দি গ্রামের মুদি দোকানি বৃদ্ধ কামিজ উদ্দিন, একই এলাকার অটোরিকশা চালক সোহাগ মিয়া, ফল বিক্রেতা রোকন উদ্দিন ও গৃহবধূ মিনু বেগম। তারা গেল তিনদিন ধরে পাশের উপজেলা আড়াইহাজারের উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হামলায় আহত সোহাগ মিয়া বলেন, বুরন্দি গ্রামের সেলিম ও তার স্ত্রী রতনা বেগম ও তাদের সহযোগী একই এলাকার কবির, হাসিব, শাকিল, আলমগীর, সজিব আমাদের বাড়ির সামনে প্রায়ই মাদক বিক্রি করে। বিগত সময় তাদেরকে মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়। কিন্ত তারা তা মানেনি। শুক্রবার পুনরায় এখানে মাদক বিক্রি করছিল তারা।
এসময় মাদক নিতে আসা ব্যক্তিরা গ্রামের এক মেয়েকে অশ্লিল ভাষায় কথা বলে। তখন মুদি দোকানি কামিজ উদ্দিন মাদক বিক্রেতাদের এখান থেকে চলে যেতে বলায় তারা তাকে মারধর করে। পরে অন্যরা ছুটে গেলে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় এবং পিটিয়ে আহত করে। এছাড়া বাড়িঘর ভাংচুর ও দোকানপাট লুট করে হামলাকারীরা।
আহত মিনু বেগম বলেন, ঘটনার সময় আমরা প্রাণ বাঁচাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ আসে। তখন পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়। এসময় গ্রামের লোকজন আমাদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। গত তিনদিন তারা আমাদের বাড়ির সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের ভয়ে আমরা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে যেতে পারিনি। তারা হুমকি দিচ্ছে বাড়িতে গেলে মেরে ফেলবে।
এ ঘটনায় সোমবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে জামপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিরব কবির জানান, কারা মাদক বিক্রি করছে তা আমি জানি না, তবে মাদক বিক্রি হয় এটা সত্য। তবে আমি চাই মাদকমুক্ত হোক গ্রাম।
মেম্বার নিরব আরও বলেন, আহত ও হামলাকারীদের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে আগে থেকে বিরোধ ছিল। আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই মারামারি হয় এবং আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশ দেখছেন।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির পরির্দশক সাইফুল ইসলাম জানান, এখনও অভিযোগ পাইনি,অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি আহতরা যাতে গ্রামে ফিরতে পারে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে ব্যবস্থা করা হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন