ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

নিউইয়র্কে হামলা চেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশি গ্রেফতার

প্রকাশিত : ১২:৫৮, ৮ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১৩:০৩, ৮ জুন ২০১৯

টাইমস স্কয়ারে হামলা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি আশিকুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।

শুক্রবার (৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে তাকে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে হামলা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ আনার পাশাপাশি জামিন আবেদনও নাকচ করে দেন দেশটির আদালত।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশিকুল আলম (২২) নামের ওই যুবক নিউইয়র্কের কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে থাকেন। বেশ কিছুদিন নজদারিতে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার আগ্নেয়াস্ত্র কেনার পর তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  তার যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড রয়েছে।

গ্রেফতারের একদিন পর শুক্রবার ব্রুকলিনের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে আশিকুলকে হাজির করা হয়। আইনজীবী জেমস ডারো তার মক্কেলকে দুই লাখ ডলার মুচলেকা নিয়ে সংশোধনের জন্য কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দি রাখার অনুরোধ জানান।

ডারো আরও জানান, আশিকুল তার মা-বাবার সঙ্গেই থাকেন এবং তারা বন্ডে স্বাক্ষর করার জন্য প্রস্তুত আছেন। তবে আদালতে সংক্ষিপ্ত শুনানির পর বিচারপতি চেরিল পোলাক আশিকুলকে জামিন না দিয়ে আটক রাখার নির্দেশ দেন। আগামী ২১ জুন পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য্য করেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, আশিকুল আলাপচারিতায় টাইমস স্কয়ারে গ্রেনেড নিক্ষেপের ইচ্ছা প্রকাশের পর বেশ কিছু দিন ধরে নজরদারিতে ছিলেন। ছদ্মবেশে একজন গোয়েন্দা তার পিছু নিয়েছিল।

ওই গোয়েন্দার সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বিষয়ে আলোচনা করেন আশিকুল। সিরিয়াল নম্বর নষ্ট করা আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে চান তিনি। সেই মোতাবেক আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল তাকে। এরপর এফবিআই এজেন্ট ও নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট টেররিজম টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে।

আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, তার সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুইটি গ্লক ১৯ আধা স্বয়ংক্রিয় পিস্তল উদ্ধারের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এক কর্মকর্তা জানান, আশিকুলকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। একজন গোয়েন্দা ছদ্মবেশে তাকে অনুসরণ করছিলেন। ওই গোয়েন্দার সঙ্গে কথাও হয়েছিল আশিকুলের। দুইজনের সাক্ষাতে সে (আশিকুল) নাইন ইলেভেন হামলাকে সমর্থন জানিয়েছিল। হামলায় সুইসাইড ভেস্ট ও হাতবোমা ব্যবহার নিয়েও আলোচনা করেছিল সে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি রিচার্ড ডোনোঘুয়ে এক বিবৃতিতে জানান, ‘অভিযোগ অনুযায়ী, আশিকুল আলম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা ও টাইমস স্কয়ারে বেসামরিকদের ওপর হামলা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অবৈধ অস্ত্র কিনেছিল।’ সে টাইমস স্কয়ার কিংবা এক মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যার জন্য ওয়াশিংটনে হামলার প্রস্তাব দিয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।

সূত্র: দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস

আই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি