নিজ উদ্যোগে ওমরাহ্ পালন
প্রকাশিত : ২১:০৭, ২ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৩৪, ৩ এপ্রিল ২০১৮
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি রোকনের মধ্যে পঞ্চম রোকন হলো হজ। এই হজ প্রতি বছর একটি নির্ধারিত সময়ে আদায় করতে হয়। আর ওমরাহকে বলা হয় ছোট হজ। হজের মতো অনেক নিয়ম ওমরাহ মধ্যে পালন করতে হয়।
আপনি কিভাবে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওমরাহ্ পালন করলাম ও কি কি নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হলাম আর পাশাপাশি কি কি অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম তার উপর আমার এ লেখা। আমার এ লেখা বড় হলেও অনেকের উপকার হবে বলে আশা করি। বিশেষ করে যারা চিন্তা করছেন সামনে ওমরাহ্ পালন করতে যাবেন কিংবা অনেকের নতুন কোন দেশ সম্পর্কে জানা হবে।
আমাদের যাত্রা আমিসহ মোট ৩টি পরিবার ছিলো। এটি ছিল ১০রাত ১১দিনের সফর। আমরা প্রথমে মদিনাতে ৪রাত তারপরে মক্কাতে ৬রাত থাকার পরিকল্পনা করি এবং সেই অনুযায়ী হোটেল ও বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করি।
আমরা ঢাকা থেকে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সরাসরি ঢাকা থেকে মদিনা রওনা দিলাম। প্রথমেই মদিনাতে গেলে এহারামের কাপড় ঢাকা থেকে পরিধানের প্রয়োজন হয় না। ঢাকা থেকে বিকেল ৪টায় ছেড়ে সৌদির দাম্মামে একঘণ্টা যাত্রা বিরতির পর আমরা স্থানীয় সময় রাত ১০টায় মদিনা বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছাইলাম। রাতে মদিনা হোটেলে গিয়ে আর বিশ্রাম নিতে মন মানলো না। তাই চলে গেলাম মসজিদে নববীতে। নবীজির রওজা মোবারক যিয়ারত করতে। হোটেল থেকে ৬ থেকে ৭ মিনিট হাঁটা পথের পরেই মসজিদে নববী। প্রাণ জুড়িয়ে গেল সেই মসজিদ দেখে। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সেই মসজিদ যেখানে আমাদের প্রিয় নবী (সা:) ঘুমিয়ে আছেন। মন আমার উৎফুল্ল কখন ঢুকবো মসজিদের ভিতর। বিশাল মসজিদ যার চারিদিকের দেওয়ালে ৪০টির মত গেট আছে। গভীররাত অথচ সেখানে আপনার এতটা রাত মনে হবেনা। নবীজির রওজার সামনে মেয়েদের যাওয়া নিষেধ তাই নিজেই ঢুকে পড়লাম। হাটিহাটি পা চলতেই নজরে পড়লো মসজিদের ভিতরে একটি বড় ঘরের সম্মুখে স্বর্ণের ৩টি গেট। ঘরটির সামনে যেতেই আপনার মন শিহরে উঠবে। মনের অজান্তেই যেন অশ্রুতে চোখ ভিজে গেল। যে ঘরের ভিতর পাশাপাশি শুয়ে আছেন আমাদের নবী করিম (সা:), হযরত আবু বক্কর (রা) এবং হযরত ওমর (রা)। নবীজিকে সালামসহ সেখানের দোয়া পড়লাম যা গাইড বইয়ে লিখা ছিল। নবীজির রওজার পাশের স্থানই রিয়াজুল জান্নাহ। মসজিদের সকল স্থানে লাল রঙয়ের কার্পেট থাকলেও সেই স্থানটি সবুজ কার্পেট। এই স্থানটিতে যদি আপনি দুই রাকাত নামাজ পড়েন তাহলে যেন জান্নাতে বসে নামাজ পড়লেন। এটিকে জান্নাতের বাগান বলা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সেখানে নামাজ পড়তে অধীর আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। আলহামদুলিল্লাহ্, সেখানে একাধিক সময়ে আমি নামাজ আদায় করেছি। এই স্থানটিতে নারীদের জন্য দিনে দুইবার নামাজ পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এভাবে আমাদের সময় কেটে গেল। আর রাত ৪টায় মধুর কণ্ঠে আযানের সুর ভেসে আসলো। মনে করলাম ফজরের আযান। কিন্তু না। পৃথিবীতে একমাত্র দুইটি স্থান আছে যেখানে তাহাজ্জুতের আযান হয়। আর তার মধ্যে একটি হলো মসজিদুল হারাম আর অন্যটি মসজিদুল নববী। তাহাজ্জুদ নামাজের পর ৫টায় আবার আযান হলো। দলে দলে লোক আরও বাড়তে থাকলো। ভিতরে মহিলাদের আলাদা নামাজের ব্যবস্থা আছে। আমরা সবাই নামাজ পড়ে হোটেলের পথে রওনা দিলাম। অসাধারণ সেখানের সকাল। গরমের দেশ অথচ মদিনা ঠাণ্ডা। এজন্য হয়ত বলা হয়েছে সোনার মদিনা। সোনার মদিনাতে নামাজ শেষে ভোর হতেই রাস্তাঘাটে দোকান সব খুলে যায়। জাঁকজমক ব্যবসা শুরু হয়ে যায়। যেখানে আমাদের দেশে অনেকের সকাল হয় সকাল ১০টায় আর সেখানে সবকিছু কার্যক্রম শুরু হয়ে পড়ে ভোরে। এভাবে দেখতে দেখতে পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টে নাস্তা খেয়ে হোটেলে এসে ঘুম দিলাম।
দ্বিতীয় দিন:
ঘুম থেকে উঠে জোহর, আছর, মাগরীব, এশা কাটিয়ে দিলাম মসজিদে। সবাই আমাকে বলেছিল আছরের নামাজে মসজিদে গিয়ে একবারে এশার পড়ে ফিরতে। তখন মনে মনে ভেবেছিলাম এতক্ষণ মসজিদে কি করবো ? কিন্তু সেই চিন্তা ধারণা আমার পরিবর্তন হয়ে গেল। এ যেন মসজিদেই শান্তি। সবাই সেখানেই পড়ে থাকেন। মসজিদে নববীর চারিপাশে ইলেকট্রিক ছাতা। সকালের রৌদ আসতেই সেই ছাতা খুলে দেওয়া হয় আবার সন্ধ্যায় বন্ধ করা হয়। সে এক অপরূপ দৃশ্য। মসজিদের ভিতরেই আপনি জমজম পানির গ্যালন পাবেন। সবাই সেখানে প্রাণ ভরে পানি খায়। মসজিদে নববীর পাশেই জান্নাতুল বাকি। যেখানে মা ফাতেমাসহ অনেক সাহাবিরা ঘুমিয়ে আছেন। দিনে দুইবার সেই কবরস্থানে আপনি যেতে পারবেন। এখানে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরেই জানাযার নামাজ হয়। হাজী সাহেবরা ছাড়া দূর দুরন্তের মৃত্যু দেহ নিয়ে আসা হয় নামাজের জন্য। মসজিদ থেকে হোটেলের আসা পথেই অনেক মার্কেট পাবেন। যেখানে আপনি আঁতর, তোজবি, স্বর্ন, খেজুরসহ সকল জিনিস ক্রয় করতে পারবেন। মদিনা দ্রব্য ক্রয় ও খেজুরের কেনার জন্য সবচেয়ে ভালো। এখানে অনেক কম মূল্যে কিনতে পারবেন যা মক্কাতে পারবেন না। এভাবেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়ে আর আশেপাশে ঘুরে দিন শেষ হয়ে গেল।
তৃতীয় দিন:
এই দিনটি ছিল জুম্মার দিন। তাই চেষ্টা করলাম আগে আগেই মসজিদে চলে যেতে। সেই ফজরের নামাজ পড়ার পর আবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই মসজিদে। এত আগে মসজিদে গিয়েও মনে অনেক শান্তি। আমার সামনেই প্রিয় নবী (সা:) ঘুমিয়ে আছেন। আর সেখানেই আমি জুম্মার নামাজ পড়ছি সেই অনুভূতি যে না যাবে তাকে বুঝানো যাবেনা। মানুষ যতবার সুযোগ পায় ততবার একবার হলেও নবিজির রওজা সালাম দিতে যান। আর জান্নাতের বাগানে নামাজ পড়তে যান। কিছু কিছু মাজার পূজারি মানুষ এখানে বেদআত কাজ করে থাকেন। যেগুলো পুলিশ দেখা মাত্র তাড়িয়ে দেন। এই সমস্ত কাজ থেকে সবাই বিরত থাকবেন।
চতুর্থ দিন:
সকালের ফজরের নামাজের পড়েই একটি বড় জিপ গাড়ি ১৪০ রিয়ালে ভাড়া নিয়ে বেড় হয়ে গেলাম জিয়ারাতে (ইসলামিক নিদর্শনগুলো দেখাকে জিয়ারা বলে)। ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে আমাদের ঘুরিয়ে দেখালো উহুদের ময়দান, বদরের যুদ্ধের স্থান, মসজিদে ক্কুবা, দুই কেবলা মসজিদ, জ্বীন পাহাড়, হযরত বেলালের মসজিদ। সব স্থান প্রাণ ভরে উপভোগ করলাম। মদিনা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পথে ঘাটে শত শত শান্তির পায়রা উড়ছে সেখানে। প্রতি ওয়াক্ত আযানের আগেই দোকান সব বন্ধ হয়ে যায়। সবাই মসজিদের দিকে ছুঁটতে থাকে।
পঞ্চম দিন:
সকালেই ব্যাগ লাগেজ গুছিয়ে গোসল শেষে পাক পবিত্র হয়ে ওমরাহ্ নিয়ত করে যাত্রা শুরু করলাম মক্কার উদ্দেশ্যে। পথে কিছুদূর পরেই মিকাতে যাত্রা বিরতি দিল। যেখানে আমরা পুরুষরা এহরামের কাপড় পরিধান করলাম। এহরামের কাপড় পরে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক কন্ঠে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছালাম মক্কা নগরীতে। হোটেলে লাগেজ রেখেই ছুঁটে চললাম ক্বাবা ঘরের দিকে। ৬ থেকে ৭ মিনিট পথ হাটতেই মসজিদে হারামে এসে পৌঁছাইলাম। মসজিদের ৯৪ নম্বর গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকেই চোখের সামনে চলে আসলো ক্বাবা ঘর। যে ঘরটি জন্মের পর থেকে টিভিতে দেখে আসছি আর আজ তা আমার সামনে। শরীর আমার কাঁপছে আর দোয়া করছি আল্লাহর দরবারে। ক্বাবা ঘরের এক কোণে অবস্থিত হাজরে আসওয়াদ যে পাথরটি বেহেস্ত থেকে আসা তার বরাবর থেকে তওয়াফ শুরু করলাম। এভাবে নিয়ম অনুযায়ী ৭বার তওয়াফের পর মাকামে ইব্রাহীমের পিছনে (যেখানে ইব্রাহীম (আ:) এর পায়ের চিহ্ন পাথরটি অবস্থিত) হজ্বের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে কাঁদলাম। এরপর জমজম কূপের পানি খেয়ে গেলাম সাফা মারওয়া পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। যদিও এখন সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং মানুষের সুবিধার্থে কোন পাহাড় বুঝা যায় না। যেখানে ইসমাঈল (আ:) এর পানির তৃষ্ণা মেটাতে তার মা এই দুই পাহাড়ে পানির খোঁজে দৌঁড়াদৌঁড়ি করেছিলেন। সেখানেও নিয়ম অনুযায়ী দুই পাহাড়ে ৭ চক্কর দিলাম। এ সকল নিয়ম ও দোয়া আপনি বইতে পাবেন। সবার শেষে মসজিদ থেকে বেড় হয়ে মাথা মুন্ডন করেন ওমরাহ্ হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলাম।
ষষ্ঠ দিন:
মক্কা নগরী আমার কাছে লেগেছে এক অপরিকল্পিত নগরী। যে নগরীতে শত শত বছর ধরে লাখ লাখ মুসলিম আসা যাওয়া অথচ তার কোনো পরিকল্পনা মোটেও ভালো না। এর রাস্তা ঘাট, ফুটপাত মোটেও প্রশস্ত নয়। নেই কোনো মেট্রো রেল, আন্ডার পাস ট্রেন ব্যবস্থা অথচ যুগে যুগে একটা ধনী দেশ। পুরো মক্কা যেন ব্যবসা নগরীতে পরিণত। এই হজ্বকে সৌদিয়ানরা এখন ব্যবসায় পরিণত করেছে। হজ্বকে কেন্দ্র করে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করছে কিন্তু হাজীদের জন্য সু-ব্যবস্থা কিংবা সেখানকার তেমন উন্নয়ন নেই। হয়ত যারা দেশ বিদেশ খুব ঘুরেননি তারা আমার সাথে তর্ক করবেন। কিন্তু পৃথিবী এখন যেমন উন্নত হয়েছে সেই অনুপাতে এত মানুষের সমাহার একটি ধনী রাস্ট্রের এই ব্যবস্থা আমাকে ব্যথিত করেছে। মক্কার চারিদিকে শুধু হোটেল আর হোটেল। ঢাকার মত অপরিকল্পিত একটা নগরী। ক্বাবা ঘরের পাশেই সৌদি বাদশা বিশাল প্রাসাদ নির্মাণ করে দূর থেকে মসজিদের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও এই প্রাসাদে তিনি থাকেন না। সৌদি ইরাক যুদ্ধে এই প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলো। কারণ সাদ্দাম হোসেন মক্কা ও মদিনা ছাড়া সব স্থান ধ্বংসের হুমকি দিয়েছিলেন। আর এই ভয়ে তখন মক্কাতে বাদশার প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়েছিল। এক সময় আমাদের দেশ থেকে যাওয়া মানুষগুলো সেখানে খুব ভালো ছিলেন। কিন্তু এখন প্রবাসীরা খুব একটা ভাল নেই। আয়ের বেশির ভাগ অংশ এখন সৌদিয়ানরা নিয়ে যান। সেখানে তেলের দাম পানির চেয়ে সস্তা আর এজন্য বেশির ভাগ গাড়ি খুব কমই স্টার্ট বন্ধ করে থাকেন। অলস প্রকৃতির মানুষ সেখানকার কোনো কাজই যেন করতে চায় না। ট্যাক্সি ছাড়া ব্যক্তিগত বেশির ভাগ গাড়ী আপনি নোংরা দেখবেন। যেন কেনার পড়ে একবারও মুছে নাই। রাস্তাঘাটে শুধু ট্রাফিক সিগন্যাল মানলেও খুব একটা নিয়মে গাড়ি চালায় না। আমার চোখে সেখানের মানুষগুলো খুব একটা ভালো লাগেনি। তাই হয়ত যুগে যুগে আল্লাহ্ নবী রাসুল এই অঞ্চলে পাঠিয়ে ছিলেন। হাজী সাহেবরা ক্বাবা ঘরের হাজরে আসওয়াদ একটু স্পর্শ করতে পাগল হয়ে যায়। অথচ সেখানে নেই কোনো সু-ব্যবস্থা। উন্নত প্রযু্ক্তি ব্যবহার করে সেখানে সবাইকে স্পর্শ করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অথচ তা করা হচ্ছে না। আমি শক্তি খাঁটিয়ে সেখানে দুইবার যেতে সক্ষম হয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ্। কিন্তু মেয়ে মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়। মনে হয় হয়ত মারাই যাবে।
সপ্তম দিন:
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ক্বাবা শরীফে গিয়ে আদায় করে আবার মাঝে মাঝে এহরামের কাপড় পড়ে তওয়াফ করলাম (এহরামের কাপড় পড়া ছাড়া কাউকে ক্বাবা ঘরের নিকটে যেতে দেয়না) এবং ইবাদত সহ আশে পাশের মার্কেট ভিজিট করে সময় কেটে গেল সপ্তম ও অষ্টম দিন।
নবম দিন:
১২০ রিয়ালে একটি ট্যাক্সি নিয়ে চলে গেলাম জিয়ারাতে। জিয়ারার মধ্যে ছিল আরাফাত ময়দান, তুঁর পাহাড়, শয়তানের পাথর নিক্ষেপ স্থান, মিনা, ইসমাঈল (আ:) এর কোরবানি দেওয়ার প্রস্তুতি পাহাড় এবং হেরা পর্বত যেখানে কোরআন নাজিল হয়েছে। আমি ও আমার স্ত্রী অনেক কষ্টে সেই পাহাড়ের চূড়াতে উঠেছিলাম। দেখে এসেছি সেই গুহা যার ভিতরে নবিজি ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। আর সেই চূড়া যেখানে কোরআন নাজিল হয়েছিল।
দশম দিন:
এই দিন ছিল জুম্মার দিন। ক্বাবা শরীফে জুম্মা আদায় করলাম এবং এভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামজ পড়ে ইবাদতের মধ্যে আমাদের সময় কাটতে থাকলো।
এগারতম দিন:
হোটেলে ছেড়ে মক্কা থেকে জেদ্দা এয়ারপোর্টে রওনা দিলাম এবং সেখানকার বিকাল ৩টার প্লেনে ঢাকা রাত ১২টায় এসে পৌঁছালাম, আলহামদুলিল্লাহ্। অনেক বড় লেখা হয়ত অনেকেই বিরক্ত কিন্তু ইচ্ছা করলেই ছোট করতে পারলাম না। ধৈর্য ধরে যারা পড়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ। জীবনে একবার হলেও সেখানে ঘুরে আসুন। মনের তৃপ্তি পাবেন নিশ্চিত।
টিকে