নিজেদের ঐক্য আরও সুসংহত করতে হবে : মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত : ২১:৫৭, ১৬ মার্চ ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারকে পরাজিত করে একটি নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। এখন আমাদের প্রয়োজন নিজেদের ঐক্য আরও সুসংহত করা।
রোববার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বিএফইউজে ও ডিইউজে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি ‘উই আর কমিটেড টু রিফর্ম’। অর্থাৎ সংস্কারের ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিএনপি দুই বছর আগে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। সেই সংস্কারগুলোর সঙ্গে আজকের যে প্রস্তাব উঠে আসছে সেখানে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্বাচন দেওয়া। নির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা তুলে দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, হাসিনার সরকার রাষ্ট্র এবং গণতন্ত্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে গেছে। কোনো প্রতিষ্ঠাই আর অক্ষত নেই। এই যে ধ্বংসের স্তূপ এখান থেকে দেশকে নতুন করে গড়ে তোলা সহজ কাজ নয়। আমি মনে করি, নতুন দেশ গড়ার দায়িত্ব শুধুমাত্র সরকারের একার নয়, সব রাজনৈতিক দল মিলে দেশকে গড়ে তুলতে হবে।
মির্জা ফখরুল শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা আজ বিচলিত হয়ে যাই। হত্যা, খুন, ধর্ষণ এমন একটি জায়গায় চলে যাচ্ছে যে আমাদের পীড়িত করছে। অন্যদিকে আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে ছাত্ররা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। আবার দেখছি, যে সব প্রতিষ্ঠান আছে, তারাও তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে আসছে।
দ্রুত নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এখন আন্তরিকভাবে চাচ্ছি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাবেন। কারণ, আমরা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে যেটা দেখছি, নির্বাচন যত দেরি হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করার জন্য ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। যারা উগ্র, জঙ্গি তারাও এই সুযোগগুলো নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, যত দ্রুত নির্বাচন হবে, যত দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদে এসে একদিকে দেশ পরিচালনা করবে, অন্যদিকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে সংস্কারগুলো আছে সেগুলো আমরা সবাই এক সঙ্গে করতে পারবো।
এসময় আরও বক্তব্য দেন- জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম। এছাড়া এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএস//
আরও পড়ুন