নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে যে ৫ বিষয় জানা প্রয়োজন
প্রকাশিত : ১৫:৫৮, ২৪ মে ২০১৮
নিপাহ ভাইরাস আবারও ছড়িয়ে পড়ছে৷ ভারতের কেরালায় এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে৷ এর মধ্যে ৩১ বছর বয়সি এক নার্সও আছেন, যিনি এক ভাইরাস আক্রান্তকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলেন৷
নিপাহ ভাইরাস কী?
নিপাহ ভাইরাস খুবই সাম্প্রতিক একটি সংক্রামক রোগ৷ সাধারণত যেসব বাদুড় ফল খায়, তাদের থেকেই পশুপাখি ও মানুষের মধ্যে ছড়ায় এটি৷ ১৯৯৮ সালে এটি মালয়শিয়ার সুঙ্গাই নিপাহ গ্রামে প্রথম চিহ্নিত হয়৷ এক বছরের মধ্যে এই রোগ প্রথমে শূকর ও পরে ৩০০ লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে৷ ১০০ জন মারা যান৷ মহামারী রোধে লাখ লাখ শূকর মেরে ফেলা হয়৷
কীভাবে ছড়ায় নিপাহ?
সম্প্রতি দেখা গেছে, শুধু বাদুড় থেকেই নয়, ভাইরাস আক্রান্ত মানুষ ও গৃহপালিত পশু, যেমন গরু, শূকর ইত্যাদি থেকেও ছড়ায়৷ এমনকি ভাইরাস আক্রান্ত ফল থেকেও ছড়াতে পারে নিপাহ৷ ২০০৪ সালে বাংলাদেশে খেজুরের রস খেয়ে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন এ রোগে৷ গবেষণা বলছে, বাদুড়ের মুখের লালা ও মূত্র থেকেই খেজুরের রস দূষিত হয়েছিল৷
এই রোগের আলামত কী?
নিপাহ ভাইরাসের কারণে মস্তিষ্কে প্রদাহ হয়, যাকে বলা হয় এনসেফেলাইটিস৷ গবেষকদের মতে, আক্রান্ত হওয়ার তিন দিন পর থেকে ১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেওয়া শুরু হয়৷ প্রাথমিকভাবে জ্বর, বমি ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ পরের এক দুই দিনের মধ্যেই একজন কোমায় চলে যেতে পারেন। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে৷ গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ ভাগ আক্রান্তই শেষ পর্যন্ত মারা যান৷
চিকিৎসা কী?
এখন পর্যন্ত মানুষ বা পশুপাখির জন্য নিপাহ ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি৷ একমাত্র চিকিৎসা হলো উপসর্গগুলো রোধ করা ও নিবিড় পরিচর্যায় রাখা৷ আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখা হয়, যেন তা না ছড়ায়৷
নিজেকে রক্ষা করবেন কীভাবে?
আপনার এলাকায় যদি এই রোগে কেউ বা কোনও পশু আক্রান্ত হয়, তাহলে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন৷ সেখানকার খেজুর ও এর কাঁচা রস, এমনকি অন্যান্য কাঁচা ফল খাওয়া থেকেও বিরত থাকুন৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে
একে//