ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নিম গাছের ৫টি ব্যবহারিক গুণ

প্রকাশিত : ১৫:৫৬, ১১ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৫৭, ১১ মার্চ ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

আমাদের সবার বাড়িতেই কম বেশি কোনও না কোনও গাছ আছেই। কেউ কেউ ফুলগাছ রাখেন শখে, কিছু ক্ষেত্রে এমনিতেই গাছ কারুর বাড়িতে থাকে। এর মধ্যে একটা গাছ খুবই পরিচিত যেটা আমরা সচরাচর দেখতে পাই, তা হলো নিম গাছ। গ্রামাঞ্চলে নিম গাছ প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। খুব কম লোকেই নিম গাছের ব্যবহার এবং এর অসীম গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন। প্রাচীন আয়ুর্বেদে নিম বহুল ব্যবহৃত। নিম গাছের প্রত্যেকটা জিনিসে তার গুণাগুণ আছে। নিম গাছ অনেক নামে অনেক জায়গায় পরিচিত। পুরনো আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে একে ‘সর্ব রোগ হারিনী’ বলা হয়েছে। পূর্ব আফ্রিকাতে একে ‘মুয়ারুবাইনি’ নামে ডাকা হয়। সোহাহিলী ভাষায় যার অর্থ ‘৪০ এর গাছ’। তাদের স্থানীয় মানুষের কথায়, এই গাছ থেকে প্রায় ৪০ রকমের রোগ সেরে যায় তাই এই নাম দেওয়া। নিমগাছের নির্যাস প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হওয়ার কারণে এবং অপ্রদাহজনক বৈশিষ্ট্য থাকার জন্যে চিকিৎসা শাস্ত্রে এর সমাদর সব থেকে বেশি। ঠিক কি কি ক্ষেত্রে এর উপকার আমাদের জীবনে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, তা এই সীমিত পরিসরে জেনে নেওয়া যাক।

এর নিজস্ব ধর্ম

একটু আগেই বলা হলো যে নিমের নির্যাস প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিফাঙ্গাল হওয়ার কারণে চর্মরোগের ক্ষেত্রে, চামড়ার অ্যালার্জি সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সঙ্গে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ধর্ম থাকার কারণে ব্যাকটেরিয়াল কোনও ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও উপশম দেয়। অনেক সময় মুখে কোনও ইনফেকশন বা ব্রণের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে নিম তেল বা নিম পাতার নির্যাস খুব উপকারী।

গর্ভনিরোধক হিসেবে

নিম গাছের তেল গর্ভনিরোধক বৈশিষ্ট্যও আছে। পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন ইঁদুরের উপর যে এই বৈশিষ্ট্য সত্যি নিম তেলে বর্তমান। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই তেল পুরুষতান্ত্রিক হরমোনের উৎপাদনে কোনও রকম বাধা সৃষ্টি না করেই স্পার্ম উৎপাদন হ্রাস করে।

হাঁপানি সারাতে

হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা আমাদের বাড়িতে প্রায় বয়স্কদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। নিম তেল এই হাঁপানি সারাতে সাহায্য করে। অল্প অল্প করে নিম তেল সেবন করলে এবং আস্তে আস্তে তার পরিমাণ বাড়াতে থাকলে হাঁপানির ক্ষেত্রে এর আরাম পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এবং মুখের সমস্যায়

নিম আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আমাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও মুখের অনেক রোগে নিম তেল খুবই কার্যকরী। মাড়ির ব্যাথা, দাঁতের পোকা লাগা বা ক্যাভিটির সমস্যায় নিম তেল দাঁত মাজার সময় ব্যবহার করলে খুবই উপকার পাওয়া যায়।

হজম সমস্যা এবং পেট ঠিক করতে

নিমের নির্যাস আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়ায়। একই সঙ্গে হজমের গোলমাল দূর করে। আজকাল বহু মানুষ আছেন যারা গ্যাসের বা অম্বলের সমস্যায় ভুগতে থাকেন। নিমের নির্যাস এই সমস্যাকে ঠিক করে। এমনকি ঠিকঠাক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শে পেটের ঘা বা আলসার কমাতে বা সারাতে নিম একইভাবে পারদর্শী। এছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্রেই নিমের উপকার রয়েছে। মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখতে এর ভূমিকা যেমন আছে, তেমনি ম্যালেরিয়া রোগের ক্ষেত্রেও এর জ্বর এবং সংক্রমণ কমানোর ক্ষমতা রাখে। চুলের খুসকি কমাতে যেমন পারে, তেমনি নিম পাতা বেটে মুখে লাগালে ব্রণের হাত থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। আমাদের শরীরের লিভারকে ভালো রাখে। নিম ফুলের থেকে পাওয়া তেল শরীর এবং মন শান্ত করতে ব্যবহার করা হয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিম পাতা পানিতে হালকা ফুটিয়ে সেই ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে চোখ ধুলে চোখ ভাল থাকে। নিম তেল আমাদের শরীরের জয়েন্ট যেমন হাঁটু, গোড়ালি এ সব জায়গার ব্যাথা উপশমে সমান পারদর্শিতা রাখে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি