‘নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন নয়’
প্রকাশিত : ১৬:৪৬, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এ দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশ নেবে না। সরকার বিরোধীদের ওপর যতই নির্যাতন করুক, গ্রেফতার করুক, হত্যা-গুম করুক, এ দেশের মানুষকে তাদের যে চাওয়া, তা থেকে সরাতে পারবে না।
আরাফাত রহমান কোকোর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দুপুরে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে না হয় সেই চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, তারা (সরকার) চেষ্টা করছে নির্বাচন (একাদশ জাতীয় সংসদ) যেন না হয়। তারা জানে সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা কখনই নির্বাচিত হবে না।
ফখরুল বলেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান ছিল, আওয়ামী লীগের দাবিতেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলাম, তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আজকে তারা দলীয় সরকারের অধীনে জোর দিয়ে নির্বাচন করছে। জোর করেই করছে এবং বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, সরকার গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের ভোট দেওয়ার ন্যূনতম অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। আজকে কথা বলার, লেখার ও সংগঠন করার সুযোগ নেই। রাস্তায় বের হওয়ার সুযোগ নেই।
আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে, নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার চাই। যা ছিল, এ দেশের মানুষ তা গ্রহণ করেছিল। তিনটি নির্বাচন এখানে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে এটা প্রমাণিত যে, এ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা পরিষ্কার ও স্পষ্ট করেই বলেছি, আমরা নির্বাচনকালীন সময়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। সমান সুযোগ চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাবিতে যা ঘটেছে তা আওয়ামী লীগের চরিত্র। এটা ছাত্রলীগের নতুন কোনো ব্যাপার নয়। তারা বহুবার শিক্ষকদের মেরেছে, ছাত্রদের মেরেছে।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি ও আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শামা ওবায়েদ, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
/ এআর /
আরও পড়ুন