ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব

প্রকাশিত : ১৫:৫৮, ২৩ মে ২০১৯

আদালতের নির্দেশের নির্ধারিত সময় পার হলেও, বাজার থেকে মানহীন ৫২ পণ্য সরিয়ে না নেয়ায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও শেখ হাসান আরিফের হাইকোর্ট বেঞ্চ তলবসহ রুল জারির আদেশ দেন।

গত ১২ মে বিএসটিআই কর্তৃক পরীক্ষীত মানহীন ৫২ পণ্য ১০ দিনের মধ্যে বাজার থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এসব পন্যের উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে এসব নির্দেশ বাস্তবায়ন করে ১০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় সেদিন।

কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানে পণ্যগুলো পাওয়া যায়। এমনকি নিষিদ্ধকৃত প্রতিষ্ঠানের অনেকেই উৎপাদন অব্যহত রাখে।

ফলে, কাঙ্খিত অগ্রগতি না হওয়ায় আদালত অসন্তষ প্রকাশ করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হককে আগামী ১৬ জুন আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

পাশাপাশি জারি করা হয় আদালত অবমাননার রুল, দুই সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারক বলেন, “নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ অনুযায়ী দেশের কোথাও কোনো দোকান থেকে একটি প্যাকেটও সরায়নি। এ সংক্রান্ত একটি শব্দও তাদের প্রতিবেদনে নেই।”

এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে এবং অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

এরপর এসব খাদ্যপণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার, জব্দ ও মান উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ৮ মে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটি (সিসিএস)’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান এই রিট আবেদন করেন।

নিষিদ্ধকৃত ৫২টি পণ্যগুলো হচ্ছে-

তীর, জিবি, পুষ্টি ও রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সরিষার তেল, সান ব্র্যান্ডের চিপস, আরা, আল সাফি, মিজান, দিঘী, আর আর ডিউ, মর্ণ ডিউ ব্রান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার, ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, প্রাণ, মিষ্টিমেলা, মধুবন, মিঠাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি ব্র্যান্ডের নুডলস, টেস্টি তানি তাসকিয়া ও প্রিয়া সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশ, প্রাণ, ফ্রেস ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া, এসিআই পিওর ব্র্যান্ডের ধনিয়া গুঁড়া, প্রাণ ও ড্যানিস ব্র্যান্ডের কারি পাউডার, বনলতা ব্র্যান্ডের ঘি, পিওর হাটহাজারির মরিচের গুঁড়া, এসিআই, মোল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিং ব্র্যান্ডের ময়দা, রূপসা ব্র্যান্ডের দই, মক্কা ব্র্যান্ডের চানাচুর, মেহেদি ব্র্যান্ডের বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশালের ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মঞ্জিল ফুডের হুলুদের গুঁড়া, মধুমতি ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া, গ্রীনলেনের মধু, কিরণ ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিন ব্র্যান্ডের মরিচের গুঁড়া, ডলফিন ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া, সূর্য ব্র্যান্ডের মরিচের গুঁড়া, জেদ্দা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, অমৃত ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপার, তিনতীর, মদিনা, স্টারশীপ ও তাজ ব্র্যান্ডের আয়োডিন যুক্ত লবণ।

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবী বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আই//

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি