নির্দেশনা থাকলেও যৌনসেল গঠন করেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো
প্রকাশিত : ১৯:০৭, ৭ মে ২০১৮ | আপডেট: ২০:০৬, ৭ মে ২০১৮
উচ্চ আদালতের নির্দেশনার নয় বছর পেরিয়ে গেলেও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা বা কৌশল গ্রহণ করেনি দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ২০০৯ সালে হাইকোর্ট প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেও তা মানেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনটিই জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন।
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশান স্পেক্ট্রা কনভেশন সেন্টার মিলনায়তন কেন্দ্রে দ্বাদশ নাসরীন স্মৃতি পদক ২০১৮ ও গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নির্দেশনা প্রণয়নের নয় বছর পার হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা বা কৌশল গ্রহণ করা হয় নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ যতদিন না একটি পৃথক ও পূর্নাঙ্গ আইন গ্রহন করা হয় ততদিন গণপরিসরে ও ব্যক্তি পরিসরে এই নির্দেশনা মেনে চলবে না।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সামাজিক কর্মী শিরিন হক বলেন, বর্তমানে নারীরা হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। কোন স্থানে নারী এখন নিরাপদ নয় । এ থেকে বের হয়ে আসতে আইনের সঠিক প্রয়োগ দরকার। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নারী যৌন হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হলেও সঠিক বিচার পাচ্ছে না। অনেক নারী লজ্জার কারণে আইনের সহায়তা নিতে যায় না। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একদিকে যেমন আইনের সঠিক প্রয়োগ দরকার অন্যদিকে সমাজের মানুষকে সচেতন করে গড়ে তুলা দরকার।
মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেন, বর্তমানে যৌন হয়রানি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ থেকে বের হয়ে আসতে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের মানসিকতা পরির্বতন হওয়া দরকার। এটা করতে হবে পরিবার থেকে।
তিনি আরও বলেন, অপরাধী যে হোক তাকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হলে। যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে যৌন হয়রানি ও সহিংসতা অনেক অংশে কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন,নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহিংসতা বিষয়ক বহু-বিভাগীয় কর্মসূচি প্রকল্প পরিচালক, ড. আবুল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, অ্যাকশন এড বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর, ফারাহ কবির, নারী পক্ষ এর নির্বাহী কমিটির সদস্য শেরেইন হক, ইউবিআইসিও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডা.এস এম আকবর প্রমুখ।
এমজে/
আরও পড়ুন