‘নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে বিএনপি’
প্রকাশিত : ২১:৫৮, ৩ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ২১:৫৮, ৩ অক্টোবর ২০১৮
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিও নির্বাচনে আসার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু এবার তারা আর ঝুঁকি নিতে চায় না। তারা নির্বাচনের আগেই জয় নিশ্চিত করতে চায়। তাই তারা নৌকার গণজোয়ার থামানোর জন্য সন্ত্রাস ও নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে।’
সেতুমন্ত্রী কাদের আরো বলেন, এদেশে আর মাগুরা মার্কা ও ১৫ ফেব্রুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচনের মত নির্বাচন আর হবে না। এবারের নির্বাচন হবে ২০০৮ সালের মতো নির্বাচন।
ওবায়দুল কাদের আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগের তৃতীয় দিনের লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
নিউমার্কেট থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ এবং তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন।
সভায় ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যরিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না। তারা না এলেও আগামী ডিসেম্বরে উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন সামনে রেখে সহিংসতা ও নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে। আমারা দেশের জনগণকে গণসংযোগ কর্মসূচীর মাধ্যমে তাদের এ পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতন করছি।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অসাধারণ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। রাজধানীতে মেট্ররেল হচ্ছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে হচ্ছে। পাতাল রেল নির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি টেস্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর শতকরা ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছর স্বপ্নের এ সেতু উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল ফোরলেন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা নিজস্ব স্যাটেলাইটে আন্তর্জাতিক খেলা দেখছি। দেশ আজ বিশ্ব পারমাণবিক ক্লাবের গর্বিত সদস্য।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বসংস্থাটির মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের সরকার প্রধানদের জন্য রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করেছেন। আর বিএনপি মহাসচিব জাতিসংঘের মহাসচিবের নামে আমন্ত্রণ পত্রের কথা বলে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
বিএনপিকে একটি ভূয়া দল হিসেবে উল্লেখ করে কাদের আরো বলেন, যারা জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেন, তাদের কাছে দেশ গণতন্ত্র ও সুশাসন কখনো নিরাপদ হতে পারে না।
জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, আমরাও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও নষ্ট রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও যারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানেন, তাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য চাই।
বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা গত দশ বছরে আন্দোলন করতে পারেনি, তারা দু’মাসে কি আন্দোলন করবে। বিএনপির নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে পুলিশের গতিবিধি দেখে, আর ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে।
তিনি বিএনপির উদ্দেশে আরো বলেন, ‘উপায় নেই গোলাম হোসেন, উপায় নেই।’
পরে ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিউ মার্কেট এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস ও নাশকতার বিষয়ে জনগনকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করেন। বাসস
এসি
আরও পড়ুন