নির্বাচন বানচালে অপপ্রচারে ব্যস্ত বিএনপি-জামায়াত (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২২, ১২ নভেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে নির্বাচন বানচালে অপপ্রচারে ব্যস্ত বিএনপি-জামায়াত। পশ্চিমা বিশ্বের কাছে দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নেতিবাচক দেখাতে লবিস্ট নিয়োগ করে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে তারা, এমনটাই বললেন যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্ট্যাডি সার্কেল লন্ডনের চেয়ারপার্সন সৈয়দ মোজাম্মেল আলী। এ ব্যাপারে সরকারকে আরও দায়িত্বশীল এবং কৌশলী হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক স্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দীর্ঘদিন ধরেই নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।
যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ, পদ্মাসেতুতে কথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র, জাতীয় সংসদকে অবৈধ ঘোষণাসহ স্যাংশন আরোপের জন্য ২০১২ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বে লবিস্ট নিয়োগ করে বিএনপি-জামায়াত। বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে জানা গেছে, বিএনপি ও জামায়াত যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৮টি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেয়। এর মধ্যে বিএনপি ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪টি এবং ২০১৯ সালে ১টি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে ৩টি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে জামায়াত ও বিএনপি।
এসব লবিং ফার্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন বিএনপি ও জামায়াতের প্রবাসী নেতারা। কখনো কখনো যুক্ত করা হয় গায়েবি বা ভুইফোঁড় প্রতিষ্ঠানের নাম।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এরকম ৫টি লবিস্ট ফার্মের নাম উঠে এসেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই অপতৎপরতা যে আরও জোরালো হয়েছে তা স্পষ্ট হয় গেল মে মাসে ৬ মার্কিন কংগ্রেস ম্যানের চিঠি ও সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের রেজ্যুলেশনে।
তবে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এসব অপতৎপরতা কতোখানি সত্য, তা কি যাচাই করে দেখছে পশ্চিমা বিশ্ব? এমন প্রশ্নের উত্তর মেলে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ এমইপিকে সঙ্গে নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা গবেষণা সংস্থা- স্ট্যাডি সার্কেল লন্ডনের চেয়ারপার্সন সৈয়দ মোজাম্মেল আলীর বক্তব্যে।
জানান, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলোতে এখন বিএনপি-জামায়াত জোটের লবিস্টরা খুবই সক্রিয়।
অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির অবরোধ, যানবাহন ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে মনে করেন তিনি।
কানাডার আদালতে বিএনপিকে চারবার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ একটি রায়ে বলা হয়েছে রাষ্ট্র-বিধ্বংসী। রায়গুলোতে বিপুল পরিসরে আলোচিত হয়েছে ফ্যাক্ট-ভিত্তিক নানা তথ্য। বিএনপির গণতান্ত্রিক চর্চা এবং প্রাতিষ্ঠানিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন এই বিশেষজ্ঞ।
ভূরাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশকে ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বের আগ্রহ বাড়ছে। এই অবস্থায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ফ্যাক্ট-ভিত্তিক তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে গবেষণা ও প্রচারে গুরুত্ব আরোপ করেন এই বিশেষজ্ঞ।
সৈয়দ মোজাম্মেল আলী বলেন, “বিদেশিদের কাছে সত্যি ঘটনা তুলে ধরতে হবে।”
এএইচ