নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত: সিইসি
প্রকাশিত : ১৫:১৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৫:২৪, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নয়, এটি সরকারের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এমএম নাসির উদ্দিন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি), আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এমএম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নয়, এটি সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা ওই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব, যেদিন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে নিবন্ধিত দলগুলো।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরকে টার্গেট করে আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। অক্টোবরের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ের সব কাজ শেষ করার চেষ্টা করব এবং আশা করি, এটি সফলভাবে শেষ হবে।
সিইসি বলেন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের সামনে একটি যুদ্ধের মাঠে নামতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হলে বেশ কিছু স্বাধীনতা দিতে হবে এবং কিছু প্রস্তাব মেনে নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সবসময় স্বাধীন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তবে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য কিছু আইন সংশোধন করতে হবে। অতীতে জুন কিংবা বর্ষাকালে জাতীয় নির্বাচন কখনো হয়নি। ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হলে, অক্টোবরেই সিডিউল ঘোষণা করতে হবে। এজন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কাজ গেলে, ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে। এজন্য পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশ বাতিল করতে হবে। ভোটার হালনাগাদ ও সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারও হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।
নির্বাচন কমিশনের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সিইসি বলেন, এখনো রুলস অফ গেমস চূড়ান্ত হয়নি এবং নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব পূর্ণাঙ্গভাবে পাওয়া যায়নি। সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনও ঠিক করতে হবে। এর ফলে অনেক কিছু আইনি কারণে আটকে আছে।
সিইসি নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন নানা উদ্যোগ নিয়েছে, তবে জনসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলনই নির্বাচনের সুষ্ঠুতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সিইসি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। তবে জনগণ যদি সচেতন হয় এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে, তাহলে হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এসএস//
আরও পড়ুন