নির্বাসনে গেলেন ইংলাক
প্রকাশিত : ২০:৫৫, ২৫ আগস্ট ২০১৭
থাইল্যান্ড ছেড়ে অজ্ঞাত নির্বাসনে গেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। শুক্রবার ইংলাকের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির মামলায় সুপ্রিমকোর্টের রায় ঘোষণার কথা ছিল। এর আগেই তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে তার দলের একাধিক সূত্রের বরাতে জানায় বিবিসি।
৫০ বছর বয়সী ইংলাক ২০১৪ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন। এর আগে ২০০৬ সালে তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাও ক্ষমতাচ্যুত হন। পরে তিনি বিদেশে নির্বাসিত জীবন বেছে নেন। তার বিরুদ্ধে চাল ক্রয় প্রকল্পে কয়েক বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়ে সরকারি অর্থ অপচয় করার অভিযোগে ২০১৫ সালের মার্চে মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ইংলাককে ১০ বছর কারাবাসে কাটাতে হবে। এছাড়া রাজনীতিতে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হবেন।
শুক্রবার ওই মামলার রায় দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইংলাক এদিন আদালতে উপস্থিত হননি। অবশ্য ইংলাকের আইনজীবীরা বলেন, তিনি (ইংলাক) কানের সমস্যায় ভুগছেন। তাই আদালতে হাজির হতে পারেননি। তবে ইংলাকের আইনজীবীরা আদালতে এ সংক্রান্ত কোনো চিকিৎসা সনদ দেখাতে পারেননি। এরপর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ইংলাকের অসুস্থতার বিষয়টি আমলে না নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া মামলার রায়ের দিন পিছিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন। আদালতের এ আদেশের পর সংবাদ মাধ্যমে তার দেশ ছাড়ার খবর আসে।
ইংলাকের পরিবারের সদস্যদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো ও তার দল পুয়ে থাই পার্টির নেতাদের বরাতে এ খবর প্রকাশিত হয়। দলের একজন সদস্য সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, নিশ্চিতভাবে ইংলাক থাইল্যান্ড ছেড়ে গেছেন। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন তা বলেননি এ সূত্র।
থাইল্যান্ডের উপ প্রধানমন্ত্রী প্রাউয়িত ওংসুওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, সম্ভবত এরইমধ্যে ইংলাক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ইংলাকের আইনজীবী নোরাউয়িত বলেন, শুক্রবার সকালে ইংলাকের লোকজন তাকে বলেন যে তিনি কানের সমস্যায় ভুগছেন এবং তিনি আদালতে হাজির হতে পারবেন না। ইংলাক বর্তমানে থাইল্যান্ডের কোথায় অবস্থান করছেন তাও জানেন না বলে জানান এ আইনজীবী।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন