নির্যাতিত হলে সাংবাদিকদের প্রতিকারের জায়গা কোথায়?
প্রকাশিত : ১২:১৮, ২ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:২৭, ২ নভেম্বর ২০২২
আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সারা দেশে ১৭৯জন সাংবাদিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত নির্যাতিত হলে সাংবাদিকদের প্রতিকারের জায়গা কোথায়, জানেন না কোনো সাংবাদিকই।
বাংলাদেশের অফিসের সময়সূচী এক ঘণ্টা এগিয়ে আনার পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেটি মানছেন না, এমন একটি অভিযোগের ব্যাপারে তথ্য যাচাই করতে রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে গিয়েছিলেন বুলবুল হাবিব এবং রুবেল ইসলাম।
তারা একটি টেলিভিশনের রাজশাহীর জেলার রিপোর্টার ও ক্যামেরা পারসন।
যখন ওই দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করছিলেন, তখন সরকারি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা তাদের ওপর হামলা করে, এমন অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন মি. হাবিব ও মি. ইসলাম। হামলার কারণে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বুলবুল হাবিব বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, তারা আমার ওপর হামলা করার পর কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। অফিস যদিও সাপোর্ট দিয়েছে কিন্তু আমার নিজেকে খুবই লোনলি লাগছিল। তখন আমার সহকর্মী সাংবাদিক বন্ধুরা আমার পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু করে। তখন কর্তৃপক্ষ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।‘’
‘’কিন্তু একজন সাংবাদিক হিসাবে, দায়িত্ব পালনের সময় হামলা বা নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে পেশাগত জায়গা থেকে অভিযোগ জানানোর কোন প্রতিষ্ঠান বা অফিস আমি খুঁজে পাইনি,‘’ তিনি বলছেন।
বুলবুল হাবিবের ঘটনায় সেখানকার সাংবাদিকদের যৌথ কর্মসূচীর ফলে অভিযুক্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। থানাতে একটি মামলাও হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর এরকম অনেক হামলা বা নির্যাতনের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়না।
আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সারা দেশে ১৭৯জন সাংবাদিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
তার মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৬৬ জন মারধরের শিকার হয়েছেন। সংবাদ প্রকাশের জেরে মামলা হয়েছে ২৯ জনের বিরুদ্ধে।
এর কারণ বেরিয়ে এসেছে গত অগাস্ট মাসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পাঠানো একটি বিবৃতিতে।
সংস্থাটি সেখানে বলেছে, ‘’নিয়মিত বিরতিতে সাংবাদিক নির্যাতন এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে হামলা-মামলার ঘটনা ঘটলেও, কঠোর আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে যথোপযুক্ত শাস্তির দৃষ্টান্ত কার্যত অনুপস্থিত, যা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছি।‘’
টিআইবি বলেছে, ‘’বিশেষ করে, অতিসম্প্রতি চিকিৎসাসহ বিভিন্ন জনসেবা প্রদানকারী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ কালে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় স্পষ্ট যে, দুর্নীতিবাজরা কতটা বেপরোয়া, ক্ষমতাধর এবং সংঘবদ্ধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো বটেই, রাষ্ট্রীয় কোন কর্তৃপক্ষকেই তারা পরোয়া করে না। এই বেপরোয়া আচরণ প্রমাণ করে, কোন না কোন প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তারা সুরক্ষা ও দায়মুক্তি পেয়ে থাকে।‘’
এসব নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা করা ছাড়া সাংবাদিকের সামনে আর কোন উপায় থাকে না। অভিযোগ রয়েছে, মামলা হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ সহজে ব্যবস্থা নেয় না।
প্রতিকারের জন্য কোথায় যেতে পারেন সাংবাদিকরা?
সাংবাদিক বুলবুল হাবিব যেমন বলছিলেন, তিনি যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, কয়েকদিন মধ্যেই তারা আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান।
এরপর সেই প্রতিষ্ঠানে গেলে তাদের রীতিমত সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
যখন কোন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের বা কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়, তখন সেই সংবাদকর্মীর সুরক্ষার জন্য যাওয়ার আর কোন জায়গা থাকে না।
যেমন গত ১৮ই মে ঢাকায় সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার কক্ষে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর শত বছরের পুরনো আইনে নথি চুরির অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল।
তখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, গুটিকয়েক লোকের কারণে সরকারের বদনাম হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে।
সেদিনের প্রসঙ্গে ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘’আমার মনে হয়েছে, এর আগে আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিরিজ রিপোর্ট করেছিলাম, তাদের অনিয়ম নিয়ে। সেগুলো আমার কোন কথা না, তাদের কাগজপত্রে যা বলা ছিল, কোর কমিটির মিটিংয়ে যা বলা ছিল, যেমন করোনার টিকা শেষ হয়ে যাবে, সিরাম টিকা দিচ্ছে না, এতো কোটি টাকার কেনাকাটা হয়েছে কিন্তু কাগজপত্র নেই, এই নিয়োগ হয়েছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে....এই ধরনের রিপোর্টগুলো হয়তো কারও কারও জন্য সমস্যা তৈরি করেছিল। আমার মনে হয়, সেটার একটা প্রভাব পড়েছিল সেদিনের ঘটনায়।‘’
সেই ঘটনায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে, কারাগারে যেতে হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নির্যাতনকারীদের জন্য সরাসরি কোন দায়মুক্তির আইন না থাকলেও প্রভাবশালী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে সহজে ব্যবস্থা নিতে চায় না আইনি সংস্থাগুলো।
ফলে সাংবাদিকদের ওপরে সংগঠিত অপরাধ অনেকটা বিচারহীন থেকে যায়।
তথ্য ও মত প্রকাশের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন বলেছে, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের প্রতিকার চাওয়ার মতো সরকারি কোন ব্যবস্থা নেই। নিপীড়নের শিকার হলে তাদের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে যেতে হবে।
সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেছেন, ‘’পাকিস্তানের মতো দেশে দুটি প্রভিন্সে জার্নালিস্ট প্রটেকশন ল আছে, যেটা আমাদের দেশে নেই। এটা অত্যন্ত লজ্জার। এ ধরনের আইন থাকা খুবই দরকার। বরং (বাংলাদেশে) সাংবাদিক নির্যাতন করার আইন প্রচুর আছে, কিন্তু সাংবাদিককে রক্ষা করার কোন আইন নেই।‘’
ঢাকায় সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার কক্ষে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর শত বছরের পুরনো আইনে নথি চুরির অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে প্রেস কাউন্সিল নামের একটি সংস্থা রয়েছে, যাদের প্রথম উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হিসাবে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষা করার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
কিন্তু দেশজুড়ে সাংবাদিকরা নিপীড়ন বা নির্যাতনের শিকার হলেও প্রেস কাউন্সিলকে সেখানে কখনো কোন ভূমিকা রাখতে দেখা যায় না।
ফলে হুমকি, হয়রানি, নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাংবাদিকরা সর্বোচ্চ সংবাদ প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন না।
নির্যাতন বা হামলার মতো বড় ঘটনা ঘটলে থানায় বা আদালতে মামলা করেন। কিন্তু একাধিক ঘটনায় দেখা গেছে, হামলাকারীরা সরকারি প্রতিষ্ঠান, দলের বা প্রভাবশালী হওয়ায় সেসব মামলায় বিচার বেশিদূর এগোয় না।
সংবাদ প্রকাশের জেরে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ এসব মামলায় গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে যেমন মামলা করা হয়, (২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে ২৯টি), সেখানে মামলায় লড়ে যাওয়া ছাড়া সাংবাদিকের আর কোন বিকল্প থাকে না। সেসব মামলা পরবর্তীতে বাতিল হলেও হয়রানির শিকার সাংবাদিক কোন প্রতিকার পান না।
টিআইবি বলেছে, তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও বাস্তবিক অর্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিচার শেষ হয় না। তাই সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
সাংবাদিক হত্যায় জড়িত অপরাধীদের সাজা না দেয়ার ভিত্তিতে দেশগুলো যে তালিকা করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে), তাদের সেই বৈশ্বিক দায়মুক্তি সূচক-২০২১ অনুযায়ী সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশের স্থান ১১তম।
আর বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক ২০২২ অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম।
কী করছে সরকার ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো
বাংলাদেশের গণমাধ্যম অধিকার কর্মীরা বলছেন, সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কখনো বাধার মুখোমুখি হলে যাতে কোন সংস্থার কাছে গিয়ে প্রতিকার চাইতে পারেন, এমন একটি প্রতিষ্ঠান থাকা জরুরি।
বাংলাদেশে যদিও ২০০৯ সাল থেকে তথ্য অধিকার আইন রয়েছে।
কিন্তু সেই আইন অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য পেতে সাংবাদিকেরা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রিতার শিকার হন বলে অভিযোগ আ।
তথ্য দেয়া না হলে ব্যবস্থা নেয়ার উদাহরণও খুব কম।
বরং ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণার ফলে সাংবাদিকদের কাজ আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অন্যতম প্রধান সংগঠন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলছেন, ‘’ দীর্ঘদিন ধরেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মী সুরক্ষা আইনের জন্য দাবি করে আসছি। এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। তবে প্রচলিত যেসব আইন আছে, সেখানেও সাংবাদিকরা সুরক্ষা বা প্রতিকার চাইতে পারেন।‘’
তিনি জানান, সংবাদের কারণে কেউ ক্ষুব্ধ হলে সেখানে প্রতিকার চাইতে পারেন, কিন্তু সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হলে প্রতিকার চাইবেন, সেরকম কোন আইন নেই।
‘’তবে সাংবাদিক সংগঠনগুলো কিন্তু বসে নেই। তারা দাবি জানাচ্ছে, আলোচনা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। তবে এটা বলতে বাধা নেই, আমরা এখনো সেই কাঙ্ক্ষিত সুফল পাইনি,’’ তিনি বলছেন।
এ বছরের শুরুর দিকে গণমাধ্যম কর্মী আইন একটি আইন সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
সেখানে সংবাদকর্মীদের চাকরি সংক্রান্ত বিষয়াবলী যতটা গুরুত্ব পেয়েছে, পেশাগত দিকটা ততটা পায়নি।
ওই আইনের কয়েকটি ধারা নিয়েও আপত্তি রয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের।
তবে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বর্তমানে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলছেন, মন্ত্রী থাকার সময় এবং পরবর্তীতে স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময়ে সাংবাদিকদের চাকরি, বেতনভাতা সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবী তার কাছে এলেও সুরক্ষা আইন বা সংস্থা গঠনের কোন দাবি তিনি পাননি।
হাসানুল হক ইনু বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’আমি দীর্ঘদিন গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত আছি, এখনো আছি। কিন্তু অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলছি, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের নেতৃবৃন্দ বা সাংবাদিক সংস্থাগুলো, গণমাধ্যমের কোন সংস্থাই আজ পর্যন্ত সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিকার সুরক্ষা আইনের কোন প্রস্তাব আমাদের দেয়নি। ‘’
তিনি বলছেন,‘’দ্বিতীয় হলো, সাংবাদিক নির্যাতনকারী কোন অপরাধীর দায়মুক্তি বাংলাদেশে নেই, তা যে ব্যক্তি বা সংস্থাই হোক না কেন। প্রচলিত দণ্ডবিধিতে যেকোনো নির্যাতনকারীর অপরাধের ধরণ অনুযায়ী সাজা এবং বিচার হওয়ার বিধান আছে। এর বাইরে লেখালেখি করার জন্য কোন সাংবাদিক নিগৃহীত বা নির্যাতিত হন, তাহলে সেই সাংবাদিক প্রতিকার পাওয়ার জন্য প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন।‘’
‘’তারপরেও যদি তারা সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কোন আইন চান, তাহলে প্রস্তাব করলে আমরা সেটা বিবেচনা করে দেখবো,’’ বলছেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এসবি/