নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
প্রকাশিত : ১৫:৫৮, ৫ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৬:০০, ৫ মার্চ ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিতে গড়িমসি এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা।
এসময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তারা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা হামলাকারীদের বিচারে প্রশাসনের গড়িমসির সমালোচনা করেন। সেইসাথে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কীভাবে জেলে ও হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দেয় সেই প্রশ্ন তোলেন।
এসময় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান ইমন বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রশাসন জেনে বা না জেনে ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। ছাত্রলীগের হামলাকারী এবং অবাঞ্ছিতরা এখনো কীভাবে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে?
লোক প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যানকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, আপনি যদি ছাত্রলীগকে এভাবে পুনর্বাসিত করতে থাকেন তাহলে আপনার চেয়ারটা বেশিদিন থাকবে না, পুনর্বার এমন চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের দোসরদের মতোই আপনার পরিণতি হবে।
এসময় অর্থনীতি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাকিব আল মাহমুদ অর্ণব বলেন, ‘আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিচারের নামে কমিটি কমিটি করে টালবাহানা করছে। অতিদ্রুত এই নাটকের অবসান ঘটাতে হবে। কিভাবে একজন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কর্মী হাসপাতালে বসে, জেলে বসে পরীক্ষা দিতে পারে? যেখানে আমাদের বিপ্লবীরা, যারা জাহাঙ্গীরনগর থেকে সম্মুখসারিতে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের জীবন আজ বিপন্ন। আজকে কেন আমার ভাই আহসান লাবিবকে লুকিয়ে থাকতে হবে, কেন রায়হান আজ জেলে, কেন আমার ভাই হামিদুল্লাহ সালমান ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারে না?’
তিনি বলেন, আমাদের বিজয় অর্জনের সাত মাস পরেও প্রশাসন এখনো সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করতে পারলো না, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। অতিদ্রুত হামলাকারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং আমাদের বিপ্লবী ভাইদের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচারমূলক মামলা তুলে নিয়ে তাদেরকে ক্যাম্পাসে পুনর্বহাল করতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে মার্কেটিং ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, যেই বিপ্লবীরা সম্মুখ সারিতে থেকে যুদ্ধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘন্টার ভিতরে মামলা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের উপর এখনো মামলা দিতে পারেননি। আপনারা সত্যিকারে যদি গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন।
এএইচ
আরও পড়ুন