নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে মা ইলিশ আহরণ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২১, ১২ মার্চ ২০২৩
ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধিতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। শরিয়তপুর, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও বরিশালের জেলেদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার সময় ভিজিএফের চাল বরাদ্দ থাকলেও তারা তা পাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই মাছ ধরতে হচ্ছে তাদের।
শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর, চরআত্রা, নওপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জেলেরা মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কেউবা জালও ফেলেছেন নদীতে।
জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা জানা সত্ত্বেও মাছ শিকারে বাধ্য হচ্ছেন তারা। কারণ সরকারি প্রণোদনা পাচ্ছেন না।
জেলেরা বলেন, “পরিবার নিয়ে তো বাঁচতে হবে। শতকরা ৮০ ভাগ জেলেরাই চাল পায় না। চাল পায় যারা ভালো অবস্থায় আছে তারা। চাল পাইনা, আমরা জালও ফেলতে পারছিনা তাহলে কি খেয়ে বাঁচবো।”
তবে অভিযোগ মানতে নারাজ মৎস্য বিভাগ।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, “ভিজিএফ চাল ও গরু-বাছুর বিতরণ কার্যক্রম ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।”
বরিশালে ৮২ কিলোমিটারের অভয়াশ্রমে মাছ ধরেছে জেলেরা। তারা বলছে, প্রনোদনার চালের সঙ্গে ভাতা দিলে অভিযানের সময় স্বস্তি পেতেন।
জেলেরা জানান, অবৈধ কারেন্ট জাল আটকের পর তা আবার অন্য জেলেদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তি।
তারা বলেন, “পুড়ে ফেলুক তাতে সমস্যা নাই কিন্তু এই জায়গা থেকে নিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দিচ্ছে।”
এবিষয়ে কোন সদুত্তর না দিয়ে শিগগিরই প্রনোদনার চাল বিতরণের আশ্বাস মৎস্য বিভাগের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, “দুই-এক দিনের ভেতরেই চাল জেলেদের হাতে পৌঁছাবে।”
লক্ষ্মীপুরে জেলে রয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার। এদের মধ্যে সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট চররমনী মোহন এলাকার ভাসমান জেলের বেশির ভাগই সরকারি সহায়তা না পেয়ে মানববন্ধন করেছে।
জেলেরা জানান, প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা কিন্তু এখনও তা আমরা পাইনি।”
চাঁদপুরের প্রায় ৪৪ হাজার ৩৫ জন নিবন্ধিত জেলে এখনও পায়নি প্রণোদনার চাল।
অভিযান সফল করতে অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি তদারকি জোরদার করা প্রয়োজন মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ
আরও পড়ুন