নিয়মনীতি না মেনে যত্রতত্র উড়ছে জাতীয় পতাকা
প্রকাশিত : ১২:৫৩, ২৯ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১২:৫৩, ২৯ মার্চ ২০১৬
দীর্ঘ সংগ্রাম করে, লক্ষ মানুষের তাজা রক্তের বিনিময়ে একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি আমরা। পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা, আমাদের জাতীয় পতাকা, আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। কিন্তু চোখের সামনে প্রতিনিয়তই হচ্ছে এই পতাকার অবমাননা। নিয়ম নীতি না মেনে রাস্তার পাশের টয়লেট থেকে শুরু করে বাসার জানালা এবং গাড়িতে উড়ছে রং নষ্ট বা ছেঁড়া পতাকা। বিশিষ্টজনরা বলছেন, এটি পতাকা এবং দেশের অসম্মান, যা প্রতিরোধে দেশবাসীকে হতে হবে ঐক্যবদ্ধ।
হাজারো মানুষের রক্ত আর ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে নয়মাস যুদ্ধের পর স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। বাংলার বুক চিড়ে উড়ে লাল সবুজের স্বাধীন পতাকা।
প্রাণের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা মানেই আমাদের জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা। কারণ, লাল সবুজের এই পতাকা আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়ের প্রতীক। রাষ্ট্রীয় বিশেষ বিশেষ দিবসে মুক্ত বিহঙ্গের মত দেশ জুড়ে উড়ে জাতীয় পতাকা। কিন্তু অন্য দিনেও এগুলোকে রাস্তার পাশের টয়লেট, গাড়ি, বাড়ির দেয়াল, ছাদ বা জানালায়, রং নষ্ট এবং ছেড়া অবস্থায় দিনের পর দিন উড়তে দেখা যায়। অবচেতন মনেই এগুলো উড়াচ্ছে সকলেই।
লাল সবুজে আঁকা জাতীয় পতাকা তৈরী করতে হয় নির্দিষ্ট ১০:৬ মাপে । এছাড়া নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে বৃত্তের দ্যর্ঘ প্রস্থও। দেশের পরিচিতিকে তুলে ধরতে বিশেষ বিশেষ দিবসে পতাকা উড়নোর যেমন নিয়ম নীতি রয়েছে। তমনি রয়েছে বাড়ি, গাড়ি ও নানা স্থাপনায় পতাকা উড়ানোর নির্দেশনা। কিন্তুএ নিয়ম লঙ্ঘন হয় হরহামেশা।
বিশিষ্টজনরা বলছেন, বাংলার দামাল ছেলেরা যে পতাকা ছিনিয়ে এনেছে তার সম্মান রক্ষায় দলমত নির্বিশেষ এক হতে হবে সবাইকে।
এ বিষয়ে আইন প্রয়োগে রাষ্ট্র আরও বেশি উদ্যোগী হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী।
পতাকায় জড়িয়ে থাকা আমাদের স্বপ্ন আর চেতনাকে লালন-পালন করতে সচেতন হতে হবে সব বয়সী মানুষকে।
আরও পড়ুন