ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

‘নেগেটিভ চরিত্রে কাজ করতে চাই’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৯, ২৩ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৪:১২, ২৩ জুলাই ২০১৮

রাসেদ মামুন অপু। ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা। নিজের অভিনয় কৌশল ও দক্ষতা দিয়ে একটি আলাদা জায়গা তৈরি করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত অসংখ্য ভালো নাটকে অভিনয় করে জয় করেছেন দর্শক হৃদয়। শুধু নাটকে নয়, চলচ্চিত্রেও নিজের কারিশমা দেখিয়েছেন এই তারকা। কিভাবে চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করে নিজেকে প্রকাশ করেতে হবে তা তিনি ভালো করেই রপ্ত করেছেন। বিশেষ করে নাটকে নিজস্ব একটি স্টাইল ও ভাষার ব্যবহার করে ভক্তদের খুব কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন ‘সিটিবাস’ খ্যাত এই তারকা।

একুশে টেলিভিশন অনলাইনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বর্তমান ব্যস্ততার কথা জানালেন অপু। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- সোহাগ আশরাফ

প্রশ্ন : কেমন আছেন?

উত্তর : অনেক ভালো।

প্রশ্ন : সব সময়ই ঈদকে ঘিরে একটা ব্যস্ততা থাকে ছোটপর্দার তারকাদের। আপনি ছোটপর্দার একজন জনপ্রিয় তারকা। গত ঈদকে ঘিরে কেমন ব্যস্ততা গেছে?

উত্তর : নাটক নিয়েই ব্যস্ততা গেছে। বেশ কিছু নাটক প্রচার হয়েছে। দশটার মত হবে। কিছু নাটকে ব্যতিক্রমি চরিত্র ছিল। আবার কিছু সাধারণ। এই তো।

প্রশ্ন : শুরুর দিকে আপনি নাটকে একটি অঞ্চলের ভাষা ব্যবহার করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন। তারপর আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। চরিত্রকে কিভাবে নিজের মধ্যে ধারণ করেন?

উত্তর : ওটা তো আসলে উপাসনার জায়গা! সে ক্ষেত্রে আমাকে হেল্প করেছে দীর্ঘ দিনের থিয়েটার চর্চা। যখন একটা নাটকের স্ক্রিপ্ট হাতে পাই, আর সেখানে আমাকে যে চরিত্রটি দেওয়া হয় সেটাকে নিজের মধ্যে ধারণ করার চেষ্টা করি। বয়স, অবস্থান, স্থান, কাল, অবজারভেশন সব কিছু মিলিয়ে কাজটি করতে হয়। আসলে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন : আমাদের চ্যানেলগুলোতে নাটক প্রচারের ক্ষেত্রে একটি বিষয় দেখা যায়, তা হচ্ছে দর্শক সময় মত আনন্দের সঙ্গে নাটকটি উপভোগ করতে পারছেন না। বিজ্ঞাপন বিড়ম্বনা, একই সময়ে অধিকাংশ চ্যানেলে নাটক প্রচার সহ আরও অনেক কিছু। দর্শক এখন তাই ইউটিউব মুখি হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেন?

উত্তর : আমি বলবো বাধ্য করা হচ্ছে। সঠিক কোন ডিজাইন নেই। আমি নিজের নাটক দেখতে বসলেও আমার সঙ্গে যারা থাকে তারাও বিব্রত হয়। নিজের কাছে নিজেকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। মনে হচ্ছে যে- অনেকটা জোর করে তাদের বসিয়ে রেখেছি আমার নাটকটি দেখানোর জন্য। নাটক তো টিভির জন্যই নির্মাণ করা হয়। মানুষ তো নাটক টিভি চ্যানেলেই দেখবে। কিন্তু সঠিক কোন প্রক্রিয়া নেই। প্রক্রিয়াটি যদি ভালো হতো তাহলে দর্শক কখনও ইউটিউব মুখি হতো না। দর্শক কিন্তু টাটকা জিনিসই পছন্দ করে।

প্রশ্ন : আমাদের নির্মাতারা অনেক প্রতিকুলতা সত্যেও ভালো ভালো নাটক দর্শকদের উপহার দিচ্ছেন। কিন্তু তারা যে পরিশ্রম করছেন তার বিনিময়ে তেমন কিছুই পাচ্ছেন না। এ বিষয়টা সম্পর্কে আপনি কি বলবেন?

উত্তর : যারা আসলে দর্শক, যারা নাটক দেখেন, তারা হয়তো অনেকে বুঝতেও পারবেন না, অনুভবও করতে পারবেন না, কতটা কষ্ট ও ত্যাগের পর একজন নির্মাতা একটি নাটক নির্মাণ করেন। মাত্র দুই দিনে এতো অল্প বাজেটে নির্মাতারা যেসব নাটক নির্মাণ করছেন আমি তো বলবো তাদের সেলুট করা উচিত। একটি নাটকের পেছনে নির্মাতা সহ অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকৌশলি যারা থাকেন সবাই কি পরিমাণ পরিশ্রম করেন তা যদি সবাই জানতো তবে বুঝতে পারতো কতটা কষ্ট করে একটা নাটক হয়।

আমাদেরকে বাজেট দেওয়া হচ্ছে না, আমাদেরকে অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে না, বলা হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে শত্রুপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। অথচ শত্রুপক্ষের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র। তারপরও আমাদের নির্মাতারা, আমাদের শিল্পীরা অসম্ভব ভালো কিছু করছে। এটি পারছে কারণ এর পেছনে ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।

প্রশ্ন : আপনাকে আমরা চলচ্চিত্রেও দেখেছি। চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে আপনার ব্যস্ততা সম্পর্কে জানাতে চাই।

উত্তর : আমার অভিনিত ‘কমন জেন্ডার’ সিনেমাটি বেশ সাড়া জাগানো একটি চলচ্চিত্র। মূলত হিজড়া সম্প্রদায়দের নিয়ে নির্মিত হয় সিনেমাটি। তাদের জীবনযাত্রা, দুঃখ, কষ্ট, মৌলিক অধিকারগুলোর ক্ষেত্রে তাদের যে বঞ্চনা এসবই উঠে এসেছে এই সিনেমায়। এটি ছাড়া চলচ্চিত্রে আমার খুব বেশি কাজ করা হয়নি। সর্ব শেষে একটি সিনেমায় অতিথি চরিত্রে কাজ করেছি।

প্রশ্ন : আগামীতে চলচ্চিত্রে কোন ধরণের চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আছে?

উত্তর : সিনেমায় আমার পছন্দের চরিত্র নেগেটিভ। আগামীতে নেগেটিভ চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আছে।

অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবে।

ধন্যবাদ।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি