নেতিবাচক চিন্তা প্রজন্মকেও প্রভাবিত করে!
প্রকাশিত : ১৫:৫৫, ১৪ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৪:১৬, ১৫ জুন ২০১৭
নেতিবাচক চিন্তার ফলে অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দা যেমন দেখা দিতে পারে তেমনি এটি দেহের ডিএনএ লেভেলেরও মারাত্মক ক্ষতি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষের ‘সামাজিক সম্পর্ক’ ও ‘পরিবেশ এবং জীবনযাপন’ তাদের জিনে প্রভাব ফেলে। এমনকি জন্ম থেকে কোনো জিনগত সমস্যা না থাকলেও দিনের পর দিন নেতিবাচক চিন্তা করতে থাকলে জিনের তা ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। আর পরবর্তী বংশধরের মাঝেও নেতিবাচকতা বিস্তৃত হতে পারে।
তাই নেতিবাচক চিন্তা থেকে নিজেদের দূরে রাখতে অনেকেই বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নিতে যান। আবার অনেকেই নিজের মতো কিছু উপায় উদ্ভাবন করে থাকেন। জেনে নিন কিছু টিপস-
ধন্যবাদ দেওয়ার তালিকা তৈরি করুন : দিনের শুরু ও দিনের শেষে কমপক্ষে পাঁচটি বিষয় তালিকাভুক্ত করুন যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদের বিষয়গুলো এমন হতে পারে, যা ইতোমধ্যে আপনার আছে অথবা আপনার সারাদিনের কোনো একসময় তার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই বিষয়গুলো খুব সাধারণ হতে পারে। যেমন- কেউ আপনার জন্য দরজা খুলে অপেক্ষা করছে অথবা আপনি আপনার খাবারের জন্য কৃতজ্ঞ। সচেতনভাবে ধন্যবাদ দেওয়ার মতো বিষয়গুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে ধীরে ধীরে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়।
হাসি খুশি থাকুন : মানুষের হাসি এবং প্রাণচঞ্চলভাব প্রত্যেকের ‘মুড’ ভালো করতে সাহায্য করে। তখন আর দিনের খারাপ কোনো ঘটনা মনে প্রভাব রাখতে পারে না। এতে আপনার হাস্যোজ্জ্বল মুখের কাছে যে কোনো সমস্যাই খুব হালকা বলে মনে হবে।
সাহায্য করুন : বিশ্বাস করুন, অন্যকে সাহায্য করার মাধ্যমে আপনি নিজে অনেক স্বস্তি অনুভব করবেন। গরীব ছেলে মেয়েদের জামা কাপড় দিয়ে অথবা প্রতিবেশীদের প্রয়োজনে নিত্যপণ্য দিয়ে সহায়তা করুন। একবারের জন্য হলেও নিজের সমস্যা থেকে মনোযোগ সরান তখন দেখবেন অন্যদের সাহায্য করার ফলে আপনি যে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ পাবেন তাতে মন অনেক ভালো থাকবে।
পুনরায় মূল্যায়ন : সবসময় নেতিবাচক পরিস্থিতির ইতিবাচক দিকগুলো চিন্তা করুন। এটি আপনাকে নেতিবাচক ধ্যান ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসতে সাহায্য করবে। যদি মনে হয় যে আপনি এই ধরনের সুযোগ হাতছাড়া করে ফেলেছেন তবে নিজেকে বোঝান ও শক্তি সঞ্চয় করুন যে পরে আবার চেষ্টা করতে পারেন। তাছাড়া মাঝে মাঝে গান শুনুন, ছবি আঁকুন, বই পড়ুন অথবা হাঁটতে যান। এতে মন নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকবে ও মন প্রফুল্ল থাকবে।
শরীরচর্চা করুন : দ্রুত হাঁটতে পারেন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট অথবা তার বেশি সময় ধরে হাঁটলে শরীরের ডোপামিন বৃদ্ধি পায়। ফলে সঠিক কাজ করার জন্য মন শক্ত হওয়ার অনুপ্রেরণা পায়। চাইলে প্রত্যেকবার শরীরচর্চার লক্ষ্য অর্জনের পর নিজেকে পুরষ্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করে নিজেকে অনুপ্রেরণা দিতে পারেন।
সবশেষে নিজেকে ইতিবাচক রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। সূত্র : দ্য হেলথ সাইট।