নেত্রকোনার কমলা রাণী দীঘির কাহিনী অনেক প্রাচীন
প্রকাশিত : ১৩:০১, ১০ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৪:৩৬, ১০ জুন ২০১৭
নেত্রকোনার দুর্গাপুরের কমলা রাণী দীঘির কাহিনী অনেক প্রাচীন। জনশ্র“তি আছে সুসং দুর্গাপুরের রানী কমলা খটখটে শুকনো দীঘির মাঝখানে গিয়ে পূজা দেয়ার সময় বজ্রপাতে দীঘির তলার মাটি ফেটে পানিতে ভরে যায়। এতে সলিল সমাধি হয় রানীর। কালের আবর্তনে আজ ধ্বংস হয়ে গেছে সেই কমলা রাণীর দীঘি।
কথিত আছে, ১৫ শতকের শেষ দিকে সুসং দুর্গাপুরের রাজা জানকী নাথ বিয়ে করেন কমলা দেবীকে। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে প্রজাদের পানির অভাব মিটানোর জন্য একটি বিশাল দীঘি খনন করেন তিনি।
খনন করা হলেও দীঘিতে পানি ওঠে না। রানী কমলা দেবী স্বপ্নে দেখেন, তিনি যদি দীঘির মাঝখানে গিয়ে পূজা দেন তাহলেই দীঘি পানিতে ভরে উঠবে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে রানী পুকুরের মাঝখানে গিয়ে পূজায় বসলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে দীঘির তলার মাঠি ফেটে পানি উঠতে লাগলো। পানিতে কানায় কানায় ভরে উঠল দীঘি। সলিল সমাধি হলো কমলা রানীর।
বর্তমানে এই দীঘির মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে সোমেশ্বরী নদী। কালের সাক্ষী হয়ে থেকে গেছে পুকুরের দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়। কিছু অংশে রয়েছে ফসলী জমি আর পাড়গুলোতে গড়ে উঠেছে বসতভিটা।
ঐতিহ্যবাহী দীঘিটি সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
দীঘি সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিলেন এই কর্মকর্তা।
ঐতিহ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বাংলার মানুষের আত্মদানের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যাবে- এমনটাই চাওয়া এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন