ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

নেলসন ম্যান্ডেলার অজানা ১০ তথ্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১১, ১৮ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৫:১২, ১৮ জুলাই ২০১৮

বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক নেলসন ম্যান্ডেলার শততম জন্মবার্ষিক আজ। ২০১৩ সালে পরপাড়ে পাড়ি জমান তিনি। বেঁচে থাকলে এ নেতা আজ শততম জন্মবার্ষিক পালন করতেন। নেলসন ম্যান্ডেলা আজ নেই। কিন্তু তার সংগ্রামী চেতনা আলোকমশাল হয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে। আজকের পর্বে থাকছে নেলসন ম্যান্ডেলা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য-

১. নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে আটক হওয়া থেকে বাঁচতে প্রায় সময়ই ম্যান্ডেলা ছদ্মবেশ ধারণ করতেন। তিনি মাঝে মাঝেই মাঠকর্মী বা অন্য কোন পোশাক পরে বিভিন্ন পেশাজীবী হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকতেন।

২. ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি কারামুক্ত হন। এরপর তিনি তার দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নেন। কারাগারে থাকাকালীন ম্যান্ডেলাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। তাকে একটি ছোট সেলে রাখা হয় যেখানে কোন বিছানাও ছিল না। চুনাপাথর খনন কেন্দ্রে তাকে সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করা হয়।

৩. খনিতে কাজ করতে করতে ম্যান্ডেলার চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ম্যান্ডেলার চোখের অশ্রুগ্রন্থি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যে, পরবর্তী জীবনে তার চোখে আর অশ্রুও তৈরি হয়নি। কারারুদ্ধ অবস্থায় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকা থেকে আইনে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন ম্যান্ডেলা।

৪. কারাগারে থাকা অবস্থায়ই ডেসমন্ড টুটু এবং অলিভার ট্যাম্বুর মতো নেতা অন্যান্য জাতিবিদ্বেষবিরোধী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ম্যান্ডেলা। কারাগারে বসেই নিজের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘অ্যা লং ওয়াক টু ফ্রিডম’ এর খসড়া শেষ করেন তিনি।

৫. ম্যান্ডেলা খেলাধুলা পছন্দ করতেন। যুব্ক বয়সে বক্সিং এবং দীর্ঘ দূরত্বে দৌঁড় প্রতিযোগিতায় তার বেশ আগ্রহ ছিল। ম্যান্ডেলা বক্সিং পছন্দ করতেন কারণ এই খেলায় প্রত্যেকের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ থাকে। লং ওয়াক টু ফ্রিডমে তিনি লিখেছেন, বক্সিং সমমাত্রার খেলা যেখানে রিং, র্যাংক, বয়স, রং এবং সম্পদ অপ্রাসঙ্গিক বিষয়।

৬. বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২৭ বছরের কারাজীবনে প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতেন ম্যান্ডেলা। একদিনও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। ওইটওয়াটারস্র্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজ জীবন শুরু করলেও একটি ছাত্র বিক্ষোভ অংশ নেয়ায় তাকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়।

৭. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর ম্যান্ডেলা। ১৯৪১ সালে ২৩ বছর বয়সী ম্যান্ডেলা ঘটা করে আয়োজন করা বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে চলে যান জোহান্সবার্গে। এর দু’বছর পর আফ্রিকানার উইস্টওয়াটারান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি নেন। সেখানে তিনি নানা বর্ণের নানা গোত্রের মানুষের সঙ্গে মেশেন।

৮. জোহেন্সবার্গে যাওয়ার পর ম্যান্ডেলা একটি খনি কোম্পানিতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে জীবনের প্রথম চাকরী শুরু করেন। সেখানেই তিনি ইউনিভার্সিটি অব আফ্রিকার অধীনে তার ব্যাচলর ডিগ্রি শেষ করেন।

৯. নেলসন ম্যান্ডেলার তিনজন স্ত্রী। এরা হলেন, এভিলিন মেস, উইনি মাদিকিজেলা এবং গ্রেসা ম্যাশেল। এভিলিন মেস ছিলেন একজন সেবিকা। ১৯৪৪ সালে তাকে বিয়ে করেন ম্যান্ডেলা। তাদের দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে আছে। ১৯৫৮ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

ম্যান্ডেলা বিয়ে করেন ১৯৪৪ সালে এভেলিস মাসে কে। ১৯৫৮ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। ১৯৫২ সালে একজন আইনজীবী হিসাবে ম্যান্ডেলা তার সহকর্মী অলিভার তাম্বোর সঙ্গে আইনচর্চা শুরু করেন জোহানেসবার্গে।

১০. ১৯৫৬ সালে ম্যান্ডেলাসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। তবে ৪ বছর বিচারকাজ চলার পর ম্যান্ডেলার বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু নতুন নতুন আইন পাশের ফলে বর্ণবাদবিরোধী প্রচার কঠোরভাবে প্রতিহত হতে খাকে। ১৯৫৮ সালে ম্যান্ডেলা দ্বিতীয় বিয়ে করেন উইনিকে। ম্যান্ডেলাকে জেল থেকে ছাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তার এই স্ত্রী।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি