নোবিপ্রবি`র শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশিত : ১৮:২৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে নোবিপ্রবি'র আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজের উপর হামলায় মানববন্ধন করেছে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।মঙ্গলবার(৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপাচার্য ড. মো. দিদার-উল আলম, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. ফারুক উদ্দীন, রেজিস্ট্রার মো. মমিনুল হক, প্রক্টর ড. নেওয়াজ মো. বাহাদুর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. গাজী মো. মহসীন, সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা বলেন, শিক্ষকদের উপর হামলা কখন মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শিক্ষকদের উপর হামলা এটা খুবই ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা। ড. ফিরোজের উপর হামলায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন।
ড. ফিরোজের উপর হামলার ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর(সোমবার)শিক্ষক সমিতি প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতিও দেন।
৩১ আগস্ট (শনিবার) দিবাগত রাতে সিগারেটের ধোঁয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম রবিন ও সাধারণ সম্পাদক এসএম ধ্রুব দু'গ্রুপের রাত নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে শিক্ষকসহ ১০ জন আহত হয় এবং ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলটি বন্ধ ঘোষনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।এদিকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য রাত দেড়টায় পুলিশি হেফাজতে শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
২ সেপ্টেম্বর(সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের একমাত্র হল ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা পুলিশের উপস্থিতিতে দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দীর্ঘ ২ ঘন্টা তল্লাশি চালানো হয়।এতে বিপুল পরিমান মদের বোতল, ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও পাইপ, লাঠিসোটাসহ মারামারির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নেওয়াজ মো. বাহাদুর বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে ধুমপানকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে ১০ জনের মত আহত হয় এবং ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের ১৪/১৫ টি রুম ভাঙ্গচুরেরর ঘটনা ঘটে।পরবর্তীতে পুলিশ মোতায়েন করে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
রোববার দিবাগত রাতে আবারও দু'গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হলে আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. ফিরোজ আহমেদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আল আমিন শিকদার আহত হন।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২টি আহবায়ক কমিটি গঠন করেছে।হলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট কাওসার হোসেনকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যদের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। আর এইদিকে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. গাজী মো. মহসিনকে আহবায়ক করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের জন্য কারা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত এই নিয়ে ৭ সদস্যদের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।আর রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেই অভিযুক্ত।
কেআই/
আরও পড়ুন