নোয়াখালীতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২
প্রকাশিত : ১২:৪১, ৮ নভেম্বর ২০২১
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের একাংশ
নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলার পৃথকস্থানে অভিযান চালিয়ে মুসলিম মুসা (৩২) ও ইসমাইল হোসেন (৪০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৬টি কিরিচ, ১২টি ককটেল, ১টি পাইপ গিয়ার, ১টি বোট কাঁটার করাত, ১টি বাটাইল, ১টি চাপাতি ও ২টি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে এ তথ্য জানান র্যাব-১১, সিপিসি-৩ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, সদর উপজেলার চর কাউনিয়া গ্রামের তফছির আহম্মদের ছেলে মুসলিম মুসা ও বেগমগঞ্জের তালিবপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ইসমাইল হোসেন।
র্যাব জানায়, রোববার রাতে সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চর কাউনিয়া গ্রামের হাফিজ উল্যার বাপের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মুসলিমের বসত ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১টি কিরিচ, ১টি পাইপ গিয়ার, ১টি বোট কাঁটার করাত, ১টি বাটাইল, ১টি চাপাতি ও ২টি ছুরিসহ মুসলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব।
অপরদিকে, একই রাতে র্যাবের বিশেষ আরেক একটি দল বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের তালিবপুর গ্রামের মাস্টার বাড়ির কবর স্থান এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তী একটি স্থান থেকে ১৫টি কিরিচ ও ১২টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
ককটেলগুলো বিষ্ফোরণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে সংরক্ষণ করেছে বলে তথ্য দিয়েছে সে, জানায় র্যাব।
কোম্পানী কমান্ডার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে স্ব-স্ব থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করা হবে।
সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলমান থাকবে, জানিয়েছে র্যাব।
এএইচ/
আরও পড়ুন