নৌকা ডুবিতে নিহত দুই শিক্ষার্থীর জন্য হাবিপ্রবিতে দোয়া
প্রকাশিত : ২২:০৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) পানিতে ডুবে নিহত দুই শিক্ষার্থী রুহের মাগফিরাত কামনায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ তে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের আয়োজনে দিনাজপুর নবাবগঞ্জের আশুরার বিলে বেড়াতে গিয়ে নৌকা উল্টে নিহত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেভেল-৪ সেমিস্টার-১ এর আশফাক আহমেদ দীপ্ত ও মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের লেভেল-৩ সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থী রাফিদ রাহাতের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এ শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শোকসভায় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ এর সভাপতিত্বে এবং সহকারী পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হাসানুর রহমান(রাজু) এর সঞ্চালনায় বক্তব্যে রাখেন, রেজিষ্টার প্রফেসর ডা. মো.ফজলুল হক, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. খালেদ হোসেন, আইআরটি পরিচালক প্রফেসর ড.মো.তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সানাউল ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার ,মরহুম রাফিদের বড় ভাই মর্তুজা আহমেদ মিথুন ও দীপ্ত’র বড় বোন ফারহা জামান দোলা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগ নেতা আকিভ আলভী রাসেল ও রিয়াদ খান।
শোকসভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করা হয়।এরপর স্মৃতিচারণ করেন নিহত রাফিদ ও দীপ্তর বন্ধু মেহেদী হাসান এবং ইশতিয়াক আহমেদ সাগর।এর আগে নৌকা উল্টে ৫ বন্ধুর মধ্যে ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া মাহফুয খান অন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষ বর্ণনা প্রদান করেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘটনাটি ভিন্নভাবে প্রচার করা হয়েছে।মিডিয়ায় আসছে আমরা মাঝি নিয়ে যায়নি, এটি মিথ্যা। আমরা মাঝি সহকারেই নৌকায় ঘুরছিলাম, সবই ঠিক ছিলো। ঘুরার এক সময় নৌকার নিচ থেকে হঠাৎ পানি উঠতে শুরু করে। শ্রাবণ ভাই আর আমি নৌকার পানি ছেকে সরাতে শুরু করি, তারপরেও কিছুই হচ্ছিল না। এক সময় নড়াচড়াতে নৌকা উল্টে যায় আমরাও তলাতে শুরু করি। জায়গায়টাও বেশি গভীর ছিলো,সবাই বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম।আমাদের সাহায্য করার জন্য একটি নৌকা আসছিলো। সেটিকে ধরার চেষ্টা করি সেটিও তলিয়ে যায়। পরে কার কি হয়েছিল সঠিভাবে বলতে পারছি না।'
শোকসভায় প্রধান অতিধির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, আমি তাদের জন্য রূহের মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ যেন তাদের জান্নাত নসিব করে। এবং তাদের পরিবারকে ধৈর্য্য ধরার তাওফিক দান করে।তাদের বাবা-মা যেমন তাদের অভিভাবক তেমনি আমিও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক।যেকোন অভিভাবকের কাছে সন্তানের মৃত্যুকে মেনে নেয়া কষ্টসাধ্য। আল্লাহ যেটা ভালো মনে করেন আমাদের সবাইকে সেটা মেনে নিতে হবে।
এ সময় তিনি সাঁতার না জানার কারণে যেন অকাল মৃত্যু না হয় সেজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের সাঁতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।আলোচনা শেষে নিহত রাফিদ ও দীপ্তর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
কেআই/
আরও পড়ুন