নৌকার প্রার্থী কালামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ ইসিতে
প্রকাশিত : ১০:৩৪, ৩ জানুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১০:৩৬, ৩ জানুয়ারি ২০২৪
একের পর এক নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের কারণে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হয়েছে। ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা মোসা: রুবিনা পারভীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনের সচিবের কাছে পাঠানো আলাদা দুটি প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করেন।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে লেখা প্রতিবেদনে রুবিনা পারভীন উল্লেখ করেন, রাজশাহী-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও তার সমর্থকরা অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এনামুল হককে প্রাণনাশের হুমকিসহ প্রতিনিয়ত পোস্টার ছিঁড়ে, প্রচার মাইক ও অফিস ভাঙচুর করে যাচ্ছেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন গ্রাম পুলিশদের নিয়ে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের পক্ষে প্রচারণা করেন এবং এনামুল হকের পোস্টার, ব্যানার ও অফিস ভাঙচুর করেন। কাঁচি প্রতীকের সমর্থকদের হুমকিও প্রদান করছেন।
এনামুলের পক্ষে এই অভিযোগ দায়েরের পর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে। তাই নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম ও আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
আরেক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজশাহী-৪ বাগামরা আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন সময়ে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এনামুল হকের প্রাণনাশের হুমকি, অশ্লীল ভাষায় আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদান করেছেন। গত ১২ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া দেড় মিনিটের একটি ভিডিওতে আবুল কালাম আজাদকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার সাথে যারা ভাল ব্যবহার করবে, তাদের কাছে আমি ফেরেশতা। যারা খারাপ করবে তারা পৃথিবী থেকে নাই হয়ে যাবে। একটা কথা বললাম। আজাহার-মাজাহার (এনামুলের সমর্থক) এলাকায় থাকবে না’।
অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তিনি আরও বলেন, ‘নৌকার বাইরে কথা বললে আজাহারের চেহারা চেঞ্জ হয়ে যাবে। নৌকার বাইরে কোনো মাস্তানি চলবে না। এনামুলের মতো লোককে ভলি দিয়ে নৌকা নিয়ে আসিছি।’
এছাড়া এনামুল হকের সমর্থক গোবিন্দপাড়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহেব আলীকে গত ১৪ ডিসেম্বর রুহিয়া মামুদপুর মোড়ে মারধর করেন। এ ঘটনায় বাগমারা থানায় মামলা হয়। যা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির তদন্তেও ধরা পড়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা মোসা: রুবিনা পারভীনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভাব হয়নি। আর রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, জুডিশিয়ালের কপি আমাদের কাছে পাঠানো হয়না। তারা সরাসরি পাঠান। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সূত্রে জানা গেছে, একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি আবুল কালাম আজাদের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা তলব করেন। ব্যাখ্যায় বেশিরভাগ অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন তিনি। তবে আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন কালাম। তখন তাকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু এরপরও বার বার একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন