নৌঘাঁটিতে বোমা হামলার আসামি ঝিনাইদহে গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ২৩:০১, ৩০ অক্টোবর ২০১৭
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা হামলার আসামি বাবলুর রহমান ওরফে রনিকে ঝিনাইদহে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার সকালে শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বাবলুকে তারা গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার বাবলুর সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারইখালী গ্রামের আব্দুল গাফফার সর্দারের ছেলে। তিনি কাপ্তাইয়ে নৌ বাহিনীর শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটিতে ক্যান্টিন বয় হিসাবে কাজ করতেন।
এতদিন ঝিনাইদহ আত্মগোপনে থাকার পর পালিয়ে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার সময় র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করেন বলে মেজর মনির জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বাবলুর জেএমবি সরওয়ার তামিম গ্রুপের সদস্য। শুরুতে শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির মসজিদে হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পরে তা পরিবর্তন করে ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে হামলা চালানো হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে বাবলুর।”
২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পরে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ২৪ জন আহত হন।
বোমা হামলার নয় মাস পর গত ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় একটি মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৫ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা উসমান গণি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে আবদুল মান্নান, তার ভাই আবদুল গাফফার ও রমজান আলী কারাগারে আছেন। পলাতক দু’জনের মধ্যে বাবলুর গ্রেপ্তার হলেও নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন এখনও পলাতক রয়েছে।
এ মামলার এজাহারে বলা হয়, জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিনের নেতৃত্বে নৌ ঘাঁটির মসজিদে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়।
কেআই/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন