নড়াইলে কালচারাল অফিসারের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন
প্রকাশিত : ১৪:০৯, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
নড়াইল জেলা কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমানের অর্থ আত্মসাত ও দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠিত হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এম এম আরাফাত হোসেনকে কমিটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী এ কমিটি গঠন করেন।
জেলা কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ১৩ ডিসেম্বর জেলা প্রাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা। এ সময় হামিদুর রহমানের অপসারণ দাবি করেন তারা। জেলা প্রশাসক তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ- নড়াইলে অনুষ্ঠিত গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। গত ৩ ডিসেম্বর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে এ অনুষ্ঠানে একটিমাত্র সাংস্কৃতিক সংগঠনকে দুই হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
এর আগেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে তিনি অসদাচরণ করেন।
এদিকে, গত ১৪ ডিসেম্বরসহ পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নড়াইল জেলা কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও দুর্নীতি অভিযোগে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়। এরপর নিজের সাফাই গেয়ে একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সেখানে দাবি করেন, শতভাগ সততা ও বিধি মোতাবেক কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রীমহল অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করছে।
তবে, দেড় বছর আগে ময়মনসিংহ জেলা কালচারাল অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ব্যাপক দুর্নীতির কারণে হামিদুর রহমানকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় বদলি করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। গত জানুয়ারিতে নড়াইলে যোগদানের পর আবার হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে।
নড়াইল থেকেও তাকে প্রত্যাহার দাবি করেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
এএইচ
আরও পড়ুন