পণ্যের মূল্যে আকাশ-পাতাল ফারাক খুচরা বাজারে
প্রকাশিত : ১০:১৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের যে দাম পাচ্ছেন, এর সাথে খুচরা বাজারের ফারাক আকাশ-পাতাল। ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজির সবজি ঢাকার বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষক নামমাত্র দাম পেলেও লাভের গুড় খাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগি ফড়িয়া ব্যবসায়িরা।
ঢাকা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া বাজার। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে শীতের সবজি নিয়ে হাজির শত শত কৃষক।
মূলত কৃষক পানির দরেই হাটে বিক্রি করছে সবজি। অথবা আগেই জমি চুক্তি ফসল দিচ্ছে পাইকারের হাতে। প্রথম পাইকারও সামান্য লাভে হাটেই সবজি বিক্রি করে দিচ্ছে।
এরপর শুরু দাম বাড়ার খেলা। এক হাত দুই হাত করে ভোক্তার হাতে সবজি পৌঁছাতে পৌঁছাতে দাম বাড়ে কয়েক গুণ। লাভের গুড় যে পিঁপড়ায় খাচ্ছে তা যেন নিয়তি হিসাবেই মেনে নেন কৃষক।
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে বা শীতে জবুথবু হয়ে কৃষক যে ফসল বা সবজি ফলান তার লাভ কতটুকু তিনি পান। কৃষকও মেনে নিয়েছেন, জানেন তিনি যতটুকু পাচ্ছেন তার কয়েকগুন বেশি লাভ করে নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী এবং ফরিয়া-দালালেরা। তারপরও কৃষক অল্পতেই খুশি।
শালগম কেজিতে কৃষক পাচ্ছেন ১৬ টাকা। ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ২০ টাকার গাজর ঢাকায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৪০ টাকার শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ৩০ টাকার টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ৩০ টাকার ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ঢাকার বাজারে দ্বিগুন দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির মতো চাল নিয়েও চালবাজি করেছে আড়ৎদাররা। কারণ ছাড়াই কেজিতে ৩-৪ টাকা বাড়িয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, “চালের দাম যে ৫-৭ টাকা বেড়ে গেছে এটি অযৌক্তিক। অযুহাত দেখা হচ্ছে ধানের দাম বৃদ্ধির কিন্তু ধানের দাম আসলেই কি বেড়েছে। যে ধানের দাম বেড়েছে সেই চালটা ভোক্তা পর্যায়ে কবে আসবে।”
কৃষক যাতে সরাসরি ভোক্তার কাছে আসতে পারে- তা নিয়ে কাজ করতে চায় সরকার।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেন, “সবাইকে একটা কথাই বলছি, আপনারা ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করুন। আপনাদের যে অসুবিধাগুলো আছে সেগুলো আমরা দেখবো। কিন্তু ভোক্তারা যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
উৎপাদনে ঘাটতি নেই তারপরও পেঁয়াজের দর একশ’র নিচে নামেনি। এজন্যও উৎপাদন ঘাটতির অজুহাত ব্যবসায়ীদের।
এএইচ
আরও পড়ুন