পদদলনের ঘটনায় অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে কমিটি
প্রকাশিত : ১১:২০, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭
চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। এ ঘটনার জন্য আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার দায় রয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। গত সোমবারের ওই ঘটনার তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহারের কাছে কমিটি প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছে।
কমিটির প্রধান মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ভিড়ের পাশাপাশি অব্যবস্থাপনা ও রীমা কমিউনিটি সেন্টারে নির্মাণ ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।
ওই কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ মুখে নির্মাণ ত্রুটি না থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না বলে মনে করা হচ্ছে। তাই নির্মাণ ত্রুটি না সারা পর্যন্ত কমিউনিটি সেন্টারটি বন্ধ রাখতে বলেছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। এছাড়া ভবিষ্যতে বড় অনুষ্ঠান হলে লোকসংখ্যা কেমন হবে, তার ভিত্তিতে স্থান নির্ধারণসহ ছয়টি সুপারিশ করেছে কমিটি।
গত সোমবার বন্দর নগরীর আশকার দীঘির পাড়ে ওই কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে অন্তত ১০ জন নিহত হন। এছাড়াও আহত হন অনেকে। পদদলনে হতাহতের কারণ অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পরে ফুটেজ দেখে মঙ্গলবার মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, অনেক লোক বাইরে অপেক্ষা করছিল, ভেতরে যত জন ছিল, তার চেয়ে বাইরে রাস্তায় বেশি লোক অবস্থান করছিল। একটা সময় স্বেচ্ছাসেবকরা গেইট খুলে দেওয়ায় এক সঙ্গে বিপুল সংখ্যক লোক ঢোকার চেষ্টা করে। মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পর ওই ঢালু অংশ পার হয়ে মূল ভবনে যেতে হয়। সেখানেই ভিড়ের মধ্যে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
একে/এমআর
আরও পড়ুন