পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রকাশিত : ২০:৫৩, ৫ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫৫, ৫ মার্চ ২০২৫

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটকসহ আরও অনেকে।
আজ বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে মাদারীপুর সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিক রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মাদারীপুরে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে সরকারি খাসজমি, অর্পিত সম্পত্তি ও অন্যের মালিকানাধীন সম্পত্তির ভুয়া রেকর্ড তৈরি করে, জালিয়াতির মাধ্যমে ২৩টি চেকে সরকারের ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এই অর্থ আত্মসাৎ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক, সাবেক সার্ভেয়ার রাসেল আহম্মেদ ও সাবেক সার্ভেয়ার মো. নাসিরউদ্দিনসহ স্থানীয় সুবিধাভোগী ২৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। সাবেক ওই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারের ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করে দুদক।
মাদারীপুর সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিক রহমান বলেন, ২৩টি চেকের মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন মামলার আসামিরা। দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। সরকারি কর্মচারী আসামিরা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত আছেন। তিনি আরও বলেন, শিগগিরই আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, অভিযুক্তরা সরকারি খাস জমি, অর্পিত সম্পত্তি ও অন্যান্য ব্যক্তির মালিকানাধীন সম্পত্তির ভুয়া রেকর্ড তৈরি করে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এমবি//
আরও পড়ুন