পদ্মায় মাছ শিকারের ‘ব্লক বাঁধ’ ভেঙে দিল প্রশাসন
প্রকাশিত : ১৭:১৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ঢাকার দোহার উপজেলায় মৈনট ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীর মূল প্রবাহে আড়াআড়ি বাঁশের ‘ব্লক বাঁধ’ দিয়ে কিছুদিন যাবৎ অবাধে মাছ শিকার করছিল স্থানীয় প্রভাবশালী মুরাদ মৃধা ও আবুল কাশেম নামে দুই ব্যক্তি।
রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে ‘ব্লক বাঁধ’টি অপসারণের কাজ শুরু করেন দোহার উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর ও কোষ্টগার্ড।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দোহার উপজেলার মৈনট দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীতে বাঁশ দিয়ে আড়াআড়ি ‘ব্লক বাঁধ’ দেওয়া হয়েছিল। বাঁশের সঙ্গে আটকানো জালের নিচে ভারী পাথর বাঁধা। নিচের অংশে রয়েছে ‘রাক্ষুসে জাল’। এমন জাল ইলিশ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আড়াআড়ি এমন বাঁধে নৌযান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
সেখানে কর্মরত মৎস্যজীবীরা জানান, প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর জালগুলোতে মাছ ধরা পড়েছে কি না, তা দেখা হয়। ইলিশ, ছোট ছোট জাটকাসহ সবই ধরা পড়ছে এ জালে। এ মাছ ধরার কাজ করতো বেশ কয়েকজন জেলে। নৌকা ব্যবহার করে তাঁরা জালে আটকানো মাছগুলো সংগ্রহ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানে দায়িত্বে থাকা জেলেরা বলেন, ‘মুরাদ মৃধা ও কাশেম মেম্বার আমাদেরকে মাছ ধরার কাজে খাটাচ্ছেন। কোনো কোনো দিন ১০/১২ মণ মাছ জালে ধরা পড়ে।আবার কোনো দিন চার-পাঁচ মণ মাছ পাওয়া যায়। বেশির ভাগ মাছ দোহারের মৈনট ঘাটে বিক্রি করা হয়। গত ২/৩ সপ্তাহ ধরে মাছ ধরার কাজ চলছিল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৈনট ঘাটের এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, এভাবে নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের কারণে সাধারণ জেলেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। প্রশাসন বাঁধটি ভেঙে দেওয়ায় সাধুবাদ জানাই।
দোহার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান খান বলেন, মাছ শিকারে নদীতে এভাবে বাঁধ দেওয়া দেশের প্রচলিত মৎস্য আইনের পরিপন্থী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবাসহ কোষ্টগার্ডের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কেআই/
আরও পড়ুন