পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত : ১২:৫১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১২:৫৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরকীয়ার জেরে বাচ্চু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন এবং তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা দায়রা জজ শারমীন নিগার এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাড়াইলচর গ্রামের তুজু মিয়া মোল্লার ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগমকে। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। রিনা বেগমকে ফের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মামলার নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বড়াইলচর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে পেঁয়াজ রসুন ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার লাশ খল্লা গ্রামের কলাবাগানে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার ভাই আলমগীর মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার তদন্ত করে।
তদন্ত শেষে আদালতে দায়ের করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) উল্লেখ করা হয়, রফিকুল ইসলাম এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বাচ্চু মিয়াকে একটি মোটরসাইকেলে করে নির্জনস্থানে নিয়ে প্রথমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাচ্চু মিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
মূলত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগমের সাথে রফিকুল ইসলামের পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। রফিকুল ইসলাম হলো রীনা বেগমের খালাতো বোনের জামাই। পরকীয়া চলা অবস্থায় রিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় রফিকুল। তখন রিনা জানায়, বাচ্চুকে খুন করতে পারলে তাকে বিয়ে করবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী রফিকুল এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। পরে এলাকার লোকজন সন্দেহবশত ওই দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে রিনা বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
এএইচ
আরও পড়ুন