পরচর্চা কেন করবেন?
প্রকাশিত : ১৪:৫৩, ২৪ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১৮:৩৭, ২৪ জুলাই ২০২৩
গীবত বা পরচর্চা এমন একটি ভয়ংকর পাপ যার করুণ পরিণতি সম্পর্কে জানলে মানুষ কখনো তা করত না। আমাদের সমাজে গীবত বা পরচর্চা একটি মারাত্নক সামাজিক ব্যধি!
গীবত বা পরনিন্দা-পরচর্চা অর্থ হচ্ছে কারো অনুপস্থিতিতে তার সম্পর্কে এমন কথা বলা যা শুনলে সে অপছন্দ করবে বা মনে কষ্ট পাবে। অধিকাংশ মানুষ পরচর্চা-পরনিন্দা তথা গীবত করে একধরনের সাময়িক তৃপ্তি লাভ করে! অথচ তাদেরকে মৃত ভাইয়ের মাংস ভক্ষন করতে বললে তারা কখনও তা ভক্ষন করবে না!
প্রকৃতপক্ষে গীবতকারী গীবতের মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট করে। একদিন আল্লাহ'র রসূল জিজ্ঞাসা করলেন: “সবচেয়ে নি:স্ব কে? সাহাবীরা বললেন: যার সহায়-সম্পদ বলতে কিছুই নেই। আল্লাহ'র রসূল বললেন: সেই ব্যক্তি সবচেয়ে নি:স্ব, হতভাগা যে বিচারের মাঠে বিশাল পরিমাণ নেক আমল নিয়ে হাজির হবে কিন্তু যাদের হক নষ্ট করা হয়েছে তারাও তাদের দাবি নিয়ে উপস্থিত হবে। পাওনাদারদের দাবি পরিশোধ করা শুরু হবে নেক আমল দিয়ে। দাবি পরিশোধ করতে করতে নেক আমল শেষ হয়ে গেলে যাদের দাবি অপরিশোধিত থাকবে তাদের পাপ হকনষ্টকারীর ঘাড়ে চাপিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে!”
লক্ষ্য করুন, জান্নাতের আশায় কত কষ্ট করে বিভিন্ন নেক আমল করা হয় অথচ পরচর্চা করার কারণে তা কোন কাজেই আসে না! সারা জীবনের সলাত, সিয়াম, যাকাত, হজ্জ-উমরাহ, দান-সাদাকা ইত্যাদি সবই বিফলে যাবে পররর্চা করলে! কি সাংঘাতিক আত্মঘাতী ব্যাপার!
মানব প্রবৃত্তির কাছে পরচর্চা মজাদার হওয়ার দুটি কারণ। প্রথমত, নিজের দোষের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া বিরক্তিকর। অন্যের দোষ আলোচনা করলে এ বিরক্তি থেকে বাঁচা যায়।
দ্বিতীয়ত, নিজের ভালত্ব ও প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার সহজ উপায় গীবত। নিজের বড়ত্ব নিজে বলা একটু খারাপ দেখায়। অন্যদের গীবতের মাধ্যমে সহজেই প্রমাণ করা যায় যে, সকলেই দোষযুক্ত, আমি অনেক ভাল।
মানবীয় এ দুর্বলতার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ বলেন: “তোমাদের মধ্যে একজন মানুষ তার ভাইয়ের চোখের সামান্য কুটাটুকু দেখতে পায়, কিন্তু নিজের চোখের মধ্যে বিশাল বৃক্ষের কথা ভুলে যায়।” (সহীহ ইবন হিব্বান, মাওয়ারিদুয্ যামআন ৬/৯০ সহীহ
রাগ ও ক্রোধের বশবর্তী হয়ে অনেকে পরচর্চা করে থাকেন। অনেকেই রাগের সময় ব্যক্তির (যার সাথে রাগ) দোষসমূহ বলে ফেলেন, অথবা ব্যক্তির নিজ পরিবারের বা আত্মীয়-স্বজনের পরচর্চা করে ফেলেন।
রাগ দমন করা একটি মহৎ গুণ। পরচর্চা থেকে রক্ষা পেতে রাগকে দমন করার অভ্যাস রাখতে সচেষ্ট হতে হবে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলেন, “যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল উভয় অবস্থায় দান করে থাকে, ক্রোধকে সংবরণ করে থাকে আর মানুষের অপরাধকে মার্জনা করে থাকে, মহান আল্লাহ এই জাতীয় সৎকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন।” (আলে ইমরান-১৩৪) ।
নিজেকে বড় মনে করা আর অপরকে ছোট মনে করাঃ এই ধরনের মন মানসিকতায় যারা থাকেন, অধিকাংশ সময়েই এই ধরনের অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে বহু মানুষ একে অপরেরর গীবত করে থাকে। অথচ এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “কোন মানুষের অমঙ্গলের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে নিজ ভাইকে তুচ্ছ মনে করবে।” (সহীহ মুসলিম)।
এইক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন মহান আল্লাহ কাকে পছন্দ করেন আর ভালোবাসেন, আমরা কেউ বলতে পারিনা। আবার কোন ব্যক্তির কোন একটি আমল মহান আল্লাহ পছন্দ করে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে ফেলেছেন,আমরা সেটা জানি না, তাহলে কিভাবে কোন ব্যক্তিকে আমরা ছোট বা হেয় করতে পারি? যাকে হেয় করতে যাচ্ছেন সেই ব্যক্তি যদি রবের প্রিয় বান্দা হয়ে থাকে তাহলে নিজের অবস্থা কি হবে তখন একটু চিন্তা করা প্রয়োজন।
একে অপরের সাথে হিংসা-বিদ্বেষ করার কারণে গীবত হয়
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,“তোমরা একে অপরের সাথে হিংসা-বিদ্বেষ কর না।” (সহীহ বুখারী)।
হিংসা-বিদ্বেষের তাড়নায় অনেকে পরচর্চায় জড়িয়ে পড়ে। কারো উন্নতি বা প্রশংসা দেখলে অনেকেই হিংসায় সেই ব্যক্তি সম্পর্কে কটু কথা বলে থাকেন বা ব্যক্তিজীবনের অনেক গোপন কথাও প্রকাশ করে দেন,উদ্দেশ্য ব্যক্তিকে হেয় করা। এই ধরনের অবস্থা থেকে মনকে পবিত্র রাখতে পারলে পরচর্চা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের কাজ কম, অফুরন্ত সময়, তখন সময়কে ব্যয় করার জন্য কিছু খুঁজতে থাকেন গীবত হয় তখন।
তখন যারা অলস প্রকৃতির তারা শুয়ে বসে গল্প করেই পার করতে চায় সময়টি। এধরণের মানুষই বেশি বেশি অপরের গীবত করে থাকে।
কারণ তাদের কোন কাজ থাকে না। সময় কাটানোর মাধ্যম হিসাবে তারা ঐ নোংরা পথকে বেছে নেয়। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “দুটি নেয়ামত এমন রয়েছে, যার ব্যাপারে অনেক মানুষ ধোঁকাগ্রস্ত রয়েছে।সুস্থতা ও অবসর।” (সহীহ বুখারী হা/২৯১)
কারোর গীবত করা মুনাফিকের আলামত
আবূ বারযাহ্ আস্লামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘‘হে তোমরা যারা মুখে ঈমান এনেছো; অথচ ঈমান তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করেনি! তোমরা মুসলিমদের গীবত এবং তাদের ছিদ্রান্বেষণ করো না। কারণ, যে ব্যক্তি মুসলিমদের ছিদ্রান্বেষণ করবে আল্লাহ্ তা‘আলাও তার ছিদ্রান্বেষণ করবে। আর আল্লাহ্ তা‘আলা যার ছিদ্রান্বেষণ করবেন তাকে তিনি তার ঘরেই লাঞ্ছিত করবেন’’। (আবূ দাউদ ৪৮৮০)
পরচর্চার প্রকারভেদ
আমাদের সমস্যা হচ্ছে, ঠিক কোনগুলো গীবত বুঝতেই না পারা। এখানে বেশ কয়েক প্রকারের গীবত নিয়ে আলোচনা করা হলো।
খাবারের পরচর্চা : নিকৃষ্টতম গীবত হল খাবারের গীবত করা। যেমন বলা, খাবারটা মজা হয় নাই, লবণ কম হইছে, এত লবণ দিয়েছে যে তিতা লাগছে ইত্যাদি। নবী (সা:) কখনই খাবারের দোষ ধরতেন না। ভালো না লাগলে এক পাশে সরিয়ে রাখতেন । কখনই বলতেন না, কী খাবার রান্না করেছে মুখেই দেয়া যাচ্ছে না !
দৈহিক কাঠামোর পরচর্চা: কারো কাছে কোন ব্যক্তির দৈহিক ত্রুটি উল্লেখ করাও গীবত। যেমন বলা, অমুক ব্যক্তি খুব মোটা, তার নাক বোঁচা, চোখ খুবি ছোট, চোখে দেখে না, মাথায় তো চুল নাই, পেটে ভূড়ি আছে, সে তো খুবই খাট ইত্যাদি । একবার আয়েশা(রা:) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আপনি কী সাফিয়ার বেঁটে হওয়াটা অপছন্দ করেন না? রাসূল (স:) বললেন, হে আয়েশা ! তুমি এমন একটি কথা বললে যা নদীর পানির সাথে মিশিয়ে দিলে তার উপর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে ।” (আবু দাউদ )
পোশাকের পরচর্চা : এভাবে বলা, অমুকের পোশাক খাট, কেমন কালারের জামা-কাপড় পরে দেখতে বিশ্রি লাগে, ঐ মেয়ে এত ফিটিংওয়ালা পোশাক পরে, অমুক তো পাতলা ড্রেস পরে ইত্যাদি। একবার আয়েশা (রা:) বলেন, অমুক স্ত্রীলোকের আচল খুব লম্বা । রাসূল (স:) একথা শুনে বললেন, হে আয়েশা! তোমার থুথু ফেলা কর্তব্য। আয়েশা (রা:) বলেন, আমি থুথু ফেললে মুখ থেকে গোশতের একটি টুকরা বের হয়ে আসে।” (আত তারগীব ওয়াত তারহীব)
বংশের পরচর্চা : তুচ্ছ করার জন্য কাউকে বলা, অমুকের বংশ নিচু, অমুকের পূর্ব পুরুষেরা ছিল কূলি মজুর বা চোর ডাকাত ইত্যাদি, অমুকের তো কোন বংশই নেই ইত্যাদি বলা ।
অভ্যাস বা আচার-আচারণের পরচর্চা : কোন ব্যক্তির আচার ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা করা । যেমন, সে মানুষকে কষ্ট দিয়ে কথা বলে, ব্যবহার খারাপ, অভদ্র, পেটুক, অলস, সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘুমায় ইত্যাদি ।
ইবাদতের পরচর্চা : ইবাদতের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে সমালোচনা করা। যেমন, কাউকে গিয়ে বলা অমুকতো ঠিকমত নামায পরতে পারে না, মাকরুহ ওয়াক্তে নামায পরে, রমযানের রোজা রাখে না, এত বড় হইছে কিন্তু এখনো নামায পড়ে না, এত বড় মেয়ে কুরআন পড়তে জানে না ইত্যাদি ।
গুনাহের পরচর্চা : যেমন বলা, অমুক যেনা করেছে, অমুক মানুষের নামে বদনাম করে, বাবা-মা কে কষ্ট দেয়, মিথ্যা কথা বলে, হিংসুক, অমুকের মেয়ে প্রেম করে ছেলে নিয়ে রাস্তা দিয়ে ঘুড়ে বেড়ায় ইত্যাদি ।
অভিনয়/ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে পরচর্চা : কোন ব্যক্তির অসহায় অবস্থা অভিনয়ের বা ইশারা-ইংগিতের মাধ্যমে দেখানো । যেমন, অন্ধ, বোবা, খুরা ইত্যাদি সেজে দেখানো। এমনকি সমালোচনার জন্য কারো চালচলন, কথা, পোশাক ইত্যাদি নকল করে অভিনয় করাটাও গীবত । সরাসরি নামোল্লেখ না করে এমন কিছু ইংগিতবহ উপমা ব্যবহার করে দোষ বর্ণনা করা যে লোকেরা উপমা শুনেই বুঝে ফেলে কার কথা বলা হচ্ছে।
অর্থাৎ গীবত করার সময় নাম না নিলেও এমনভাবে কোন ব্যাক্তির দোষ-ত্রুটি বলা যে মানুষের আর বুঝতে বাকি থাকে না কার কথা বলা হচ্ছে, এটাও গীবত পর্যায়ে পড়বে ।
কানের পরচর্চা: নিজে না বললেও কারো গীবত শোনা এবং শোনার সময় কোনরুপ বাধা না দেয়া কানের গীবত । গীবত বলা ও শোনা সমান পাপ । রাসূল(স:) বলেছেন, গীবত শ্রবণকারীও গীবতকারীদের একজন ।” (তাবরানী)
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে পরচর্চা : নিজের হাত, পা, চোখ ইত্যাদির মাধ্যমে অন্য লোকের নিকট কোন ব্যক্তির দোষ বর্ণনা করা ।
যে ব্যক্তি চোখ এবং হাতের ইশারার দ্বারা মানুষদের কষ্ট দেয় তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি এবং হুতামাহ নামক জাহান্নামটি তাদের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে । যেমন, কোন ব্যক্তি কোন মজলিস থেকে উঠে চলে যাওয়ার পর তার প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য চোখ অথবা হাতের ব্যবহার করা ।
লেখনীর মাধ্যমে পরচর্চা : কাউকে হেয় করার জন্য ফেসবুক, পত্রিকা ইত্যাদিতে লিখা। বা অন্য কারো কাছে পত্র লিখার সময় কারো দোষ লেখা। এমনকি মেসেঞ্জারে একজনের কাছে আরেকজনের দোষ লিখে মেসেজিং করা, বিশেষ করে দুজন ফ্রেন্ড কথা বলার সময় এ সমস্যাটা বেশি হয় ইত্যাদি ।
দাওয়াত কেন্দ্রিক ঘৃণ্য পরচর্চা : আমাদের সমাজে দাওয়াতে লিপ্ত সম্মানিত মুমিনগণকে শয়তান বিভিন্নভাবে গীবতে লিপ্ত করে। তন্মধ্যে প্রধান পথ দুইটি: ১. পাপে বা অন্যায়ে লিপ্ত ব্যক্তিগণের গীবত। দাওয়াত দিতে গিয়ে অনেকেই দেখা যায় যাকে দাওয়াত দেয়া হবে তার সম্পর্কে গীবত করে ফেলা হয়। যেমন “ক” অনেক ভালো গুন আছে,কিন্ত একটু বেশি রাগী বা আবেগপ্রবন ইত্যাদি।
পরচর্চা শুনার পরিবেশে করণীয়
কাউকে অন্যের গীবত করতে দেখলে বাধা দিতে হবে। তা হলে আল্লাহ্ তা‘আলা কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন। যে মজলিসে কারও গীবত করা হয় সেখানে যে ব্যক্তিই উপস্থিত থাকুক তাকে তা নিষেধ করা ওয়াজিব। যে ভাইয়ের গীবত করা হয় তার পক্ষ নিয়ে সাধ্যমত তাকে সহযোগিতা করাও আবশ্যক। সম্ভব হলে ঐ মজলিসেই গীবতের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের মান-সম্ভ্রমের বিরুদ্ধে কৃত হামলাকে প্রতিহত করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তার থেকে জাহান্নামের আগুনকে প্রতিহত করবেন’। আহমাদ হা/২৭৫৮৩; তিরমিযী হা/১৯৩১।
সম্মানের সাথে সেই জায়গা থেকে চলে আসা
আর যখন তারা কোন বেহুদা কথা শোনে তা উপেক্ষা করে যায় ৷ বলে, আরে ভাই , আমাদের কাজের ফল আমরা পাবো এবং তোমাদের কাজের ফল তোমরা পাবে৷ সালাম তোমাদের , আমরা জাহেলদের সাথে কথা বলি না৷”(আল কাসাস : ৫৫)
এই ধরনের লোক থেকে দূরে থাকা
ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর তুমি আনুগত্য করো না এমন প্রত্যেক ব্যক্তির, যে অধিক কসমকারী, লাঞ্ছনা, পেছনে নিন্দাকারী ও যে চোগলখোরি করে বেড়ায়, ভালো কাজে বাধাদানকারী, সীমা লঙ্ঘনকারী, পাপিষ্ঠ।’ (সুরা ক্বালাম : ১০-১৩)
পরচর্চা করে ফেলার পর তা থেকে পরিত্রাণ লাভের উপায়
অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে। এরাই হল সেসব লোক যাদের তওবা আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।” সূরা নিসা: ১৭
“কিন্তু যারা তাওবা করেছে, নিজেদের সংশোধন করেছে এবং বর্ণনা করেছে তারা হলো সেই লোক যাদের তাওবা আমি কবুল করবো এবং আমিই একমাত্র তাওবা কবুলকারী, দয়ালু।” সূরা আল বাকারা: ১৬০
তওবা শব্দের আভিধানিক অর্থ– ফিরে আসা। ইস্তেগফার অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা।
পরিভাষায় তওবা হল : যে সকল কথা ও কাজ মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয় তা থেকে ফিরে এসে ঐ সকল কথা ও কাজে লেগে যাওয়া, যা দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় ও তাঁর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকা যায়।
এক কথায় পাপ-কর্ম থেকে ফিরে এসে সৎকাজে প্রবৃত্ত হওয়া।
এএইচ