পরলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার
প্রকাশিত : ০৮:১০, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন জো বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ দেশটির রাজনীতিবিদরা।
স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জিমি কার্টার সেন্টার এক বিবৃতি এই তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন কার্টার। ডেমোক্র্যাট দল থেকে নির্বাচিত জিমি কার্টার ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্টের হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এক বিবৃতিতে জিমি কার্টারের ছেলে চিপ কার্টার বলেন, আমার বাবা একজন নায়ক ছিলেন; শুধু আমার কাছেই নন, যারা শান্তি, মানবাধিকার ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন এমন সবার কাছেই।
কার্টারের যাত্রা শুরু হয়েছিল জর্জিয়ার একটি ছোট্ট শহর প্লেইন্সে। তিনি সেখানে ১ অক্টোবর, ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জর্জিয়ার প্লেইন্সে তার বাড়ি ‘হসপিস কেয়ার’-এ ছিলেন। সেখানে তিনি তার স্ত্রী রোজালিন কার্টারের সঙ্গে থাকতেন। তবে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর মারা যান সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি রোজালিন।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে একজন অফিসার হিসেবে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের পারমাণবিক সাবমেরিন বহরের উন্নয়নে সহায়তা করেছিলেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে কার্টার পারিবারিক চিনাবাদাম চাষের ব্যবসা চালানোর জন্য ১৯৫৩ সালে তার নিজ শহরে ফিরে আসেন।
জিমি ১৯৬০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ৭৬তম গভর্নর হওয়ার আগে জর্জিয়ার প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৭৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কার্টার জেরাল্ড ফোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যিনি ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করার পরে রাষ্ট্রপতির পদে অভিষিক্ত হন। কার্টার ফোর্ডকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৮০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হন জিমি।
উল্লেখ্য, দেশটির ইতিহাসে জিমিই প্রথম শতবর্ষী প্রেসিডেন্ট। মৃত্যুকালে চার সন্তান ও ১১ নাতি-নাতনি রেখে গেছেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার বিষয়ক কাজের জন্য ২০০২ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন জিমি কার্টার।
এএইচ
আরও পড়ুন