পরাজয়ের চিহ্ন ফেলে পালায় পাকিস্তানী বাহিনী (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১৯, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
পরাজয়ের চিহ্ন ফেলে পালায় পাকিস্তানী বাহিনী (ভিডিও)
ডিসেম্বরের ৪ তারিখ মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর আক্রমণে কোণঠাসা পাকিস্তানী বাহিনী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও নাজেহাল হয়। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোটে হেরে মুক্তিযুদ্ধেও তখন পাকিস্তানের পরাজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। এদিকে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোও মুক্ত হতে থাকে বীরযোদ্ধাদের রণনৈপুণ্যে।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সমরক্ষেত্রে মুক্তিবাহিনীর প্রবল প্রতাপে এক এক করে সর্বত্রই পরাজয়ের চিহ্ন ফেলে পালিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানী বাহিনী। অবস্থা বেগতিক দেখে মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্রের শরণাপন্ন হয় পাকিস্তান।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটোতে সেই প্রস্তাব ভেস্তে যায়। পোল্যান্ডও ভেটো দেয়। ভোট দানে বিরত থাকে ফ্যান্স ও ইংল্যান্ড।
এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা কোলকাতায় সংবাদ সম্মেলনে পরিস্কার জানিয়ে দেন পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ করতেই হবে।
ফলে মাঠে এবং কূটনৈতিক- দুই যুদ্ধেই পরাজয় হয় পাকিস্তানের। রণাঙ্গণেও মনোবল হারিয়ে মুখ থুবরে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী।
৪ ডিসেম্বরে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার দর্শনার ঘাঁটিতে মুক্তিবাহিনীর কাছে পর্যদস্তু হয় পাকিস্তানি বাহিনী। মুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গার জীবননগরও।
১১ নম্বর সেক্টরে জামালপুরের বকশিগঞ্জও মুক্ত হয় এই দিনে। আত্মসমর্পণ করে হানাদার বাহিনীর ১৬২ সেনা।
মুক্তিবাহিনীর তোপের মুখে দেশের অন্যান্য যুদ্ধক্ষেত্র থেকেও লেজ গুটিয়ে পালাতে থাকে দখরদার পাকিস্তান। বিধ্বস্ত হয় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অর্ধেকেরও বেশি বিমান।
এএইচ